মলয় দে নদীয়া:- মদ খেতে নিষেধ করায় বেপরোয়া মারধর স্ত্রীকে। অচৈতন্য হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। অবনতি হলে পাঠানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। গোপন রাখতে গৃহবধূকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। আজ ভোররাতে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। গৃহবধুর নাম পিংকি মন্ডল (২৭)। ঘটনাটি ঘটেছে হাঁসখালি থানার গোবিন্দপুর কলোনির উত্তর পাড়া এলাকায়। বধুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে ক্ষিপ্ত প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত স্বামী পুণ্য মন্ডলের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় আরে ছুতোর মিস্ত্রী পুণ্য মণ্ডলের সাথে বছর কয়েক আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় পিংকি মন্ডলের। স্বামীর মদ্যপান নিয়ে অশান্তি হতো পরিবারে। এই নিয়ে গ্রামে বার কয়েক সালিশি সভা বসে। অভিযোগ, শুক্রবার রাত্রে আবার সেই একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হলে আপত্তি জানাই পিংকি। মত্ত অবস্থাতে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধরক পেটাতে শুরু করে পুণ্য। মারধরের ঘটনায় মাথায় চোট পান পিঙ্কি। ঘটনাস্থলে গৃহবধূ অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে তারপর কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চলাকালীন শনিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধুর। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর গোপন রাখতে তড়িঘড়ি দেহ সৎকারের সিদ্ধান্ত নেয় পুণ্য। ঘটনার খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে হাঁসখালি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।