মলয় দে, নদীয়া:-বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতিতে অভাব-অনটন দারিদ্রতার সীমা ছাড়িয়েছে। নীতি-আদর্শ কে শিকেয় তুলে পরিবারকে বাঁচাতে যেভাবেই হোক অর্থ উপার্জন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোমল হৃদয়ের অধিকারীদের হতাশায় যেমন বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, ঠিক তেমনই ঠগ প্রতারক প্রবঞ্চকদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে ক্রমশ! তবে এ বিষয়ে নিজেদের সজাগ থাকতে হবে যথেষ্ট! চটজলদি চটকদারি যেকোনো কিছু,অল্প পরিশ্রমে বেশি আয় সংক্রান্ত তথ্য বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নেওয়াই ভালো। প্রয়োজনে থানার সহযোগিতাও নেওয়া যেতে পারে।
নদীয়ার শান্তিপুর বিশ্বাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের পরিচয়ে অধ্যাপক ডক্টর সোমনাথ কর সহ প্রায় ১০ জনের কাছে গতকাল ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড ডিটেলস, ব্যাংক একাউন্ট এবং এটিএম পাসওয়ার্ড জানতে চাওয়া হয় একটি মোবাইল নাম্বার থেকে। বিশ্বাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃপক্ষ মোবাইলের সমস্ত কল রেকর্ডিং শুনে এবং ওই ফোন নাম্বার দেখে নিশ্চিত করেন এটি তাদের নাম্বার নয়, গ্রাহকদের প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে একটি চক্র অনেকদিন ধরেই নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।কখনো ওই নাম্বার থেকে মহিলা কণ্ঠস্বর ভেসে আসে প্রতারণার উদ্দেশ্যে।
শান্তিপুর শহরের বেশকিছু বাড়িতে গিয়ে একটি স্ট্যাম্প মারা কাগজের টোকেন দিয়ে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে তাৎক্ষণিক উজালা প্রকল্পের নাম ঢুকিয়ে সরকারি ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়ার জন্য।
এ ধরনের যে কোন ঘটনা ঘটলে শান্তিপুর পৌর মার্কেটের গ্যাস অফিস অথবা শান্তিপুর থানায় জানানোর পরামর্শ দেন বিশ্বাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর পক্ষ থেকে চঞ্চল দেবনাথ। তিনি গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য অতিসত্বর প্রতারিতরা ঐ ফোন নাম্বারটির লোকেশন ট্র্যাক করে যাবতীয় তথ্য পাওয়ার জন্য কৃষ্ণনগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করবেন বলে জানান।