মলয় দে নদীয়া :-বর্ধমান জেলারর হাঁসপুকুররে ভবাপাগলার মেলার কথা সকলেরই জানা। সমগ্র বাংলা তথা ভারত বিখ্যাত এই মেলায় যেতে গিয়ে ২০১৬ সালের শান্তিপুরের নৌকাডুবির স্মৃতি এখনো দুই জেলার বাসিন্দাদের চোখে মুখে। ৮০ জনের ডুবন্ত মৃতদেহ উদ্ধার সম্ভব হলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি এমন মানুষেরও সংখ্যা কম ছিলো না সেদিন।
চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী বৈশাখ মাসের শেষ শনিবার অনুযায়ী কালনায় শুরু হয়েছে ভবা পাগলার মেলা। মেলায় যাওয়ার জন্য নদিয়ারশান্তিপুর-নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে।শুক্রবার থেকেই বহু মানুষ ভিড় করেছেন ইতিমধ্যেই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের তরফে নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ ঘাটে ব্যারিকেড করা, অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন থেকে লঞ্চে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী তোলার ব্যাপারে তাদের লাইভ জ্যাকেট পরানোর, কড়া নজরদারি চলছে।পর্যবেক্ষণ নৃসিংহ পুর ঘাটে এসেছিলেন রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত এসডিপিও প্রবীর মন্ডল শান্তিপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর গৌরী প্রসন্ন বন্ধু এছাড়াও শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকারও।
এ প্রসঙ্গে এসপি বলেন, সমস্ত প্রশাসনিক সহযোগিতায় সর্তকতা এবং নজরদারি থাকছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। যাত্রীদের ভাগীরথী পারাপারে , ঘাট মালিকসহ বিভিন্ন ট্রলার চালকদের বিভিন্ন সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেট সিসি ক্যামেরা এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
প্রধান শোভা সরকার বলেন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী এবং বেশ কিছু ভলেন্টিয়ার ইতিমধ্যেই দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছেন।
যাত্রীরা জানাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থায় তারা খুশি তবে, সেদিনের কালো ছায়া আজও তাদের চোখে মুখে। তবে যাত্রী পারাপারের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের যেমন নজরদারি থাকবে তেমনি নিজেদের সচেতন হতে হবে বলেই মনে করছেন অনেকেই।