নাটকে অভিনয়ের মৃত্যুই বাস্তবে রূপান্তরিত হয় অলৌকিকভাবে! চার বছরে তিন নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে নিছক দুর্ঘটনা মানতে নারাজ এলাকাবাসী

Social

মলয় দে নদীয়া :-নাটকের চরিত্রে মৃত্যুর অভিনয় করলেই পরের দিন মৃত্যু অবধারিত। কাকতালীয় হলেও এমন অলৌকিক এক ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হুগলির গুপ্তিপাড়া।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে স্থানীয় আজাদ হিন্দ ক্লাবের আয়োজনে গত ২৫শে বৈশাখ একটি নাটকে এলাকারই শুভম দাস নামে ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং মেধাবী এক ছাত্র অভিনয় করে বিশেষভাবে সক্ষম এক ছাত্রের চরিত্র। যার শেষ দৃশ্যে, মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।
কিন্তু অভিনয়ের রঙ্গ মঞ্চ থেকে, বাস্তবের জীবনেও নেমে আসে শোকের ছায়া।
ঠিক এক দিন বাদে ২৭ শে বৈশাখ, অর্থাৎ গতকাল দুপুরে ভাগীরথী তে স্নান করতে আসে শুভম । তার বাবা পেশায় টোটো চালক কমল দাসের কথা অনুযায়ী, মেয়ের কাছ থেকে সে জানতে পারে ভাগীরথী ঘাটে স্নান করতে গিয়ে ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না, দিনভোর খোঁজ তল্লাশি করেও এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে সে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকা জুড়ে নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া।
তবে এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা। বলতে নারাজ প্রতিবেশীরা । কাকতালীয়ভাবে হলেও বছর চারেক আগে এমনই এক নাটকে অভিনয় করেছিলেন দেবদাস নামে এক নাবালক সেই সঙ্গে তার মৃত্যু দেখানো হয়েছিল নাটকের চরিত্রে,
ঠিক এক দিন বাদে পরিবারের সঙ্গে বর্ধমানের বেড়াতে যায় সে। ২৭শে বৈশাখ সেদিনও ছিল বৃহস্পতিবার আর ঠিক দুপুরেই দামোদর নদীর জলে শলিল সমাধি ঘটে তার।
গত দু বছর আগে একই মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন ওই এলাকারি মেয়ে দিয়া মন্ডল। সেও ঠিক একদিন বাদে অর্থাৎ ২৭ তারিখ তার বাবার সঙ্গে কৃষ্ণনগরে মোটরবাইক চেপে যাচ্ছিলো। অভিশপ্ত দুপুরে বৃহস্পতিবার প্রায় একই সময়ে পথ দুর্ঘটনায় মারা যায় ঐ নবালিকা।
এলাকার মানুষ ভাবছে তবে কি নাটকের চরিত্রই জড়িয়ে রয়েছে কোন অঘোষিত রহস্য ।

তবে বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্য এ বিষয়ে বলেছেন, এটা কোন অলৌকিক ঘটনা নয় পৃথিবীতে একই দিনে অনেক মানুষ জন্মাচ্ছে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই মৃত্যুতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু এই মৃত্যুর মধ্যে কোন অলৌকিক ঘটনা নেই। কিন্তু চার বছরে তিন তিনটি অনভিপ্রেত আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য কিছুতেই কিছু ছাড়ছে না গুপ্তিপাড়া বাসিন্দাদের।

Leave a Reply