নদীয়ার ভদ্রকালী মাত‍ার মন্ডপসজ্জা মায়ানমারের ধামায়াঙ্গি মন্দির

Social

মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুরের রাসযাত্রা প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে, আগামীকাল বিকাল চারটেতে পূর্ণিমা লাগার কারণে কালীপুজোর সূচনা হতে চলেছে আগামী কালকেই, তাই রাসের উৎসব এবার চারদিন। তবে বৈষ্ণবীয় মতে পূর্ণিমা চলাকালীন সূর্য উদয় ধরে আগামী আটই নভেম্বর শুরু হচ্ছে বিভিন্ন বিগ্রহ বাড়ি এবং বারোয়ারির পূজা গুলি। শান্তিপুরের রাসযাত্রার বারোয়ারী গুলির মধ্যে অতি পরিচিত নাম, মহাশক্তি সংঘ পরিচালিত ভদ্রা কালী ‌।

কথিত আছে রাম রাবণের যুদ্ধে মহিরাবন ছদ্মবেশে রাম লক্ষণকে পাতালে নিয়ে যান, ভদ্রা কালী মাতার সামনে বলি দেবার উদ্দেশ্যে। প্রভুদের বাঁচাতে হনুমান রাম লক্ষণ কে পরামর্শ দেন, তারা ক্ষত্রিয় হওয়ার কারণে, নতজানু কেমনভাবে হয় তা জানা নেই, তাই সেটা একবার মহিরাবনকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। মহিরাবন নতজানু হলেই , হনুমান খাড়া নিয়ে মহিরাবন এর মুণ্ড ছেদন করে। এতে ভদ্রকালী মাতা খুশি হলেও দুশ্চিন্তায় পড়েন তার পুজো করা নিয়ে, তখন হনুমান দুই হাতে রাম লক্ষণ এবং মাথায় ভদ্রাকালি মাতাকে নিয়ে মর্রতে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেই দৃশ্য কেই প্রাধান্য দিয়ে বিগত ৬৯ বছর ধরে মহাশক্তি সংঘ ভদ্রা কালী মাতার পূজা করে আসছে। এবছর তাদের ৭০ তম বর্ষে মায়ানমারের ধামায়াঙ্গি মন্দিরের আদলে মন্ডপ নির্মিত হচ্ছে। যা প্রায় সাত দিন দিনরাত কাজ করছেন ২৫ জন মণ্ডপ সজ্জা কর্মী। শান্তিপুর স্টেশন থেকে মূল শহরের প্রবেশের প্রথম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পুজো দেখতে ভিড় করেন অগণিত দর্শকবৃন্দ, তবে স্থানাভাবে অন্য ধরনের কোন চিন্তাভাবনা থাকলেও তা বাস্তবিত করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে স্থানের প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেও প্রতিবছরেই মন্ডপসজ্জা এবং প্রতিমা সহ থিম বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়ায়।

Leave a Reply