মলয় দে, নদীয়া :- আজ থেকে আনুমানিক সাড়ে চারশ বছর আগে তন্ত্রসার গ্রন্থে প্রকল্প কর্তা পন্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগম বাগিশেরর বংশধর প্রপুত্র শান্তিপুরে তার আরাধ্যা দেবী মহাকালীর প্রতিষ্ঠা করেন।
আগমবাগীশের প্রতিষ্ঠিত বলেই তার নাম অনুসারে মায়ের নাম হয় আগমেশ্বরী। তিনি ধ্যানযোগে মায়ের যে রূপ দেখেছিলেন সেইটি ফুটিয়ে তোলেন আগমেশ্বরীর মধ্যে । প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে এই পুজোর সূচনা করা হয়। পুজোর আগের দিন থেকে মায়ের গায়ে খড়িমাটি করা হয় ও পুজোর দিন সকাল থেকে রঙের কাজ শুরু হয় একদম শেষে পুজোর শুরুর মুহূর্তে চক্ষুদান করে মায়ের গায়ে সোনা ও রুপোর অলংকারে অলংকিত করা হয় , এরপরই শুরু হয় পুজো। দু বছর করোনা আবহের কারণে মায়ের ভোগের আয়োজন করা হয়নি। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই এ বছর পূজো উদ্যোক্তারা জানান, বিগত কয়েক বছর আগে সম্পূর্ণভাবে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছেন তারা, এবছর দেড় লক্ষ টাকা মাটির বাসনে, ১০০ কেজি কাজু দেড়শ কেজি ঘি ১২০ কেজি কিসমিস এবং ১৪ কুইন্টাল চালের পুষ্পান্নের আয়োজন করা হয় মায়ের ভোগে। এই প্রতীমার উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট ।
এই পুজো দেখতে ভিড় জমান বহুদূরান্তের মানুষ। পুজোর পরের দিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় সে দৃশ্য দেখতে গোটা শান্তিপুরের শহরের রাস্তার দু’পাশে উপড়ে পড়ে মানুষের ঢল। গত দুবছর ধুনো পোড়ানো ভোগ বন্টন মানসিক পুজো রক্ত দিয়ে পুজো এগুলো বন্ধ ছিলো, যা এবার আবারো স্বাভাবিক হতে চলেছে। বিসর্জনেও সমস্ত ভক্তবৃন্দ অংশগ্রহণ করতে পারবে আগেরই মতো।