সংরক্ষণ নয় ! যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ চায় কৃষ্ণনগরের বিশেষভাবে সক্ষম সংগীতশিল্পী শিবানী

Social

মলয় দে নদীয়া :-বিশেষভাবে সক্ষমদের সরকারি সংরক্ষণ হোক বা বেসরকারি সহানুভূতি বেশ কিছু ক্ষেত্রে চালু থাকলেও, সংকীর্ণতা এখনো গ্রাস করে রয়েছে এ সমাজে।

গান বাজনা খেলাধুলা অভিনয় এমনকি পড়াশোনা জীবন জীবিকাতেও এখনো তাদের পরিপূরক হয়ে ওঠেনি অনেক ব্যবস্থা। এরকমই এক হতাশাজনক ঘটনার কথা জানতে পারলাম আমরা। কৃষ্ণনগরের মেয়ে শিবানী ঘোষ বিশেষ ধরনের এক শারীরিক অসুস্থতার কারণে দৃষ্টিহীনা। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তার মা সুজাতা দেবীর অক্লান্ত পরিশ্রম ধৈর্য এবং অসম্ভব মানসিক দৃঢ়তায় নিয়মিত অনুশীলনের ফলে জেলা পেরিয়ে সে এখন রাজ্যের সংগীত শিল্পী। সম্প্রতি গত বিধানসভা নির্বাচনের জেলা প্রশাসন থিম সং হিসেবে তার গান ব্যবহার করেছে। সে ছিলো নির্বাচনী আইকন। শিবানী অল ইন্ডিয়া রেডিও যুববানীর স্থায়ী গায়িকা, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভোকাল মিউজিক অনার্স নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক মাধ্যম এবং সরকারি বেসরকারি গানের অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতায় নিত্য অহরহ অংশগ্রহণের দৃষ্টান্ত রয়েছে তার। এমনকি এর রাজ্যের সংগীত শিল্পীরা অনেকেই শিবানীকে স্নেহ করে তার সংগীত চর্চার জন্য।

সম্প্রতি সারেগামাপা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে, তাদের নিয়মাবলির মধ্যে উল্লিখিত কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেখে হতবাক শিবানির মা।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, শুধু শিবানী নয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চায় বিশেষভাবে সক্ষমরা অনেকেই কৃতিত্ব অর্জন করে। বড় প্লাটফর্মে তাদের যদি এধরনের বাধা থাকে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরো বলেন সংরক্ষণ নয় যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ নেই জেনে হতাশ হবেন অক্লান্ত পরিশ্রম করা শিল্পীরা।
যদিও এ বিষয়ে তিনি জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর বা আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে আগামীতে বিষয়টি যে বিভিন্ন বিশেষভাবে সক্ষমদের গড়ে তোলা সংগঠনের ইস্যু হবে তা বলাই বাহুল্য। আমরাও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, এ ধরনের কৃতি শিল্পীদের তাদের যোগ্যতম জায়গায় পৌঁছে দিতে আজকের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি।

Leave a Reply