মলয় দে নদীয়া:- জার্নালিস্ট মহেন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতি অক্ষুন্ন রাখতে মধ্যপ্রদেশ জব্বলপুরের বিভিন্ন ফটোগ্রাফারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গঠিত হয়েছিল চিত্রাঞ্জলী। প্রতিবছরই ফটোগ্রাফারদের উৎসাহিত করতে এবং সম্মানিত করতে ফটোগ্রাফির প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকেন তারা।
এবছর ৭৫ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে মধ্যপ্রদেশের সীমারেখা পার করে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে ২৭৬০ জন ফটোগ্রাফারের ৬৫০০ পাঠানো ফটোর মধ্য থেকে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বেছে নেওয়া হয়।
বাংলার জন্য অত্যন্ত সুখবর! সেরা তিনটি পুরস্কারই এসেছে এই বাংলার ঝুলিতে। দ্বিতীয় পুরস্কার পুরুলিয়ায়, তৃতীয় কলকাতায় এবং প্রথম পুরস্কার প্রাপক সন্দীপ প্রামানিক নদীয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা।
এ প্রসঙ্গে সন্দীপ জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাসে ফটোগ্রাফারদের গ্রুপে প্রথম জানতে পারে এ ধরনের আয়োজন এর কথা, তখনই আবেদন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। এরপর গত ১৮ ই জানুয়ারি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল কালচারাল মিনিস্টার পাহালাট প্যাটেল। আয়োজক চিত্রঞ্জলীর সাথে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতায় ছিলেন ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ কালচার। প্রথম পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ ১ লক্ষ টাকা, সার্টিফিকেট এবং টফি আগামী ২৪ শে ফেব্রুয়ারী কুরিয়ার এবং মানি অর্ডারের মাধ্যমে পৌঁছাবে বাড়িতে। জয়ের আনন্দ টেনে উৎসর্গ করেছেন সমস্ত ফটোগ্রাফারদের। কারণ হিসেবে তিনি জানান সাংবাদ সংগ্রহের ফটোগ্রাফারের জন্য আইনি এবং প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা সহযোগিতা থাকে সংবাদ সংস্থার অনুমোদনে। কিন্তু শুধুমাত্র ছবি ভালোবেসে যারা শত দারিদ্রতাকে উপেক্ষা করে, নানা প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সামাজিক ধর্মীয় প্রাকৃতিক ছবি তুলতে ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে মাঝেমধ্যেই নানা জটিল সমস্যায় পড়েন, আগামীতে এরকমই লক্ষ লক্ষ ফটোগ্রাফারদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমার এই প্রাপ্য উৎসর্গ করছি তাদেরই জন্য।