লয় দে নদীয়া :- বাংলার মুখ এখন শান্তিপুরের তাঁত কাপড়। দীর্ঘ দু’বছর বাদে এবার ব্যবসাও ভালো। রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে থেকে বিভিন্ন ক্রেতার ক্রয় করা তাঁত শাড়ি গাট বেঁধে শান্তিপুর বাইপাসে বিভিন্ন দূরপাল্লার লাক্সারী বাসের ছাদে তা লোড হয় । আর এই কারণেই দুপুরের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে ওই এলাকা। ক্রেতারা তাদের এলাকার উপর দিয়ে যাওয়া বাস থেকে কাপড়ের গাঁট বস্তা নামিয়ে নেন, এভাবেই দীর্ঘদিন যাবত চলছে ব্যবসা।
গতকাল সন্ধ্যায় নাম লেখা নেই এমন একটি কাপড়ের গাঁট পড়ে থাকতে দেখে ওই এলাকার এক দোকানদার বাইগাছি পাড়ার বাসিন্দা পল্লব কুন্ডু। পল্লব বাবু তড়িঘড়ি শান্তিপুর তাঁত বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের পরামর্শ মতোই পল্লববাবু তার নিজের দোকান ঘরে বস্তাটি রেখে দেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তিপুর থানায় জানিয়ে রাখা হয়েছিলো বিষয়টি।
অন্যদিকে আজ সকালে বিক্রেতা আগমেশ্বরী কামারপাড়া কার্তিক দাস এবং ক্রেতা মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির সাথে কথা হওয়ার সময় জানতে পারেন ওই গাঁটটি পৌঁছায়নি। তার বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শান্তিপুর থানায় আজ রাতে প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়া হল ওই কাপড়ের গাঁট। আনুমানিক ১২০ তাঁতচারী ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ওই গাঁট ফেরত পেয়ে, খুশি কার্তিক দাস। বলেন পুজোর আগে একটি বড়সড়ো ক্ষতি থেকে বাঁচলেন। পল্লব কুণ্ডু কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ব্যবসায়ী সমিতির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন কার্তিক বাবু। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয় এ ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। দুই একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপুরের ব্যবসায়ীরা অনেক উঁচু মনের মানুষ। এই কারণে শুধু দাম কম তাই নয় ব্যবহারে আপ্যায়নেও আকৃষ্ট হন ক্রেতা সাধারণ। বিশ্বাস এবং সততার কারণে এখন অনেক ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ী সারা বছর বহু মূল্যের মোটা টাকার ব্যবসা করেন বছরে ২-১ বার মাত্র শান্তিপুরে এসেই।