মলয় দে নদীয়া :- নদীয়া জেলার শান্তিপুরের অয়ন ঘোষ কলকাতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অংকের গবেষক হিসেবে পাঠরত। বাবা যাদব ঘোষ শান্তিপুর কলেজের অধ্যাপক, মা শুভ্রা ঘোয সমাজসেবী। ছোটবেলা থেকে ধুমধাম করে বাড়িতেই জন্মদিন পালনের রীতি ছিল এর আগে।
বিগত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে, শান্তিপুর রাষ্ট্রীয় উদ্যানে খোলামেলা পরিবেশে বিশেষভাবে সক্ষমদের মাঝে নাচ গান হইহুল্লোড়ে সারাদিন কাটানোর মাধ্যমে জন্মদিন পালন হয়েছিলো। করোনা পরিস্থিতি পার হলেও, বছরে একদিন অন্তত তাদের পাশে থাকা নানান সমস্যার কথা শোনা, এবং বিভিন্নভাবে তাদের সাথে আনন্দ দানের স্মৃতির কারণে অভিনব জন্মদিন পালনের পুনরাবৃত্তি ঘটলো এবারেও।
বৃহস্পতিবার শান্তিপুর রাষ্ট্রীয় উদ্যানে , সমাজসেবী বিশ্বজিৎ রায়ের সহযোগিতায় ৮৫ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষ আমন্ত্রিত ছিলেন। যাদের মধ্যে কেউ শোনালো গান কেউ আঁকলো ছবি কেউবা বাজালো হারমোনিয়াম , গানে গানে অন্তক্ষরী, গল্প বলা এভাবেই কাটলো অয়নের ২৭ তম জন্ম দিবস। অয়নের বন্ধুবান্ধবরাও ছুটে এসেছিলো এ আনন্দের ভাগ নিতে। কিছু আত্মীয়-স্বজন স্থানীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবও। সকলে একসাথে মধ্যাহ্ন ভোজের তৃপ্তি লাভ করে। যদিও প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটাতে চাইলেও, সকলের উচ্ছ্বাসের কাছে তা ছিল ম্লান। অয়নের মা শুভ্রদেবী সকল বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের আসন্ন সারদ উৎসব উপলক্ষে খামে মোরা উপহার তুলে দিলেন পরিবারের নতুন বস্ত্র কেনা জন্য। বয়স্কদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে অয়ন নিলো আশীর্বাদ।
কাকা সঞ্জয় ঘোষ জানালেন, ছেলেমেয়েদের মধ্যে পড়াশোনার সাথে মানবিকতা তৈরি করাও অভিভাবকদের কাজ। বছরে একদিন হলেও এই দু বছর নিজে হাতে তাদের খেতে দিয়ে, যে আনন্দ লাভ করেছে তা হয়তো ছোটবেলা থেকে বিগত ২৫ বছরের জন্মদিনে সে আনন্দ পায়নি। কর্মব্যস্ততার কারণে প্রত্যেকে যদি বছরে একদিন করেও এগিয়ে আসে, তাহলেও এ সমাজের কোলে আন্তরিকতা মানবিকতা থাকবে নিরাপদে।