মলয় দে নদীয়া :-ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শান্তিপুরের রোহন সাধুখাঁ মিনি আর্মেচার তৈরিতে সিদ্ধ হস্ত। রোহনের বাবা পেশায় একটি আটা কল চালান, পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে বাবার দোকানে সহযোগিতা ছাড়াও মূর্তি বানানোর চেষ্টা করতেন ছোটবেলা থেকেই।
গত বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তার তৈরি একটি কালী প্রতিমার মূর্তি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, এরপর ব্যবসায়িকভাবে প্রথম সান্মানিক মেলে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে ভর করেই এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ টির কাছাকাছি সরস্বতী কালী অন্নপূর্ণা দুর্গা মূর্তি গত এক বছরের মধ্যে পারি গিয়েছে কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। রোহন জানায় তার আর্ট কলেজে পড়াশোনায় অবশ্য মূর্তি বানানো শেখানো হয় না, শান্তিপুরে বাড়ি হওয়ার সুবাদে মূর্তির প্রতি একটা বাড়তি আগ্রহ তার ছিলো। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে এ ধরনের কাজে নতুন দিশা দেখেছে সে। তবে রোহন জানায় এ ধরনের কাজে সমস্যা একটাই যেহেতু বিসর্জন হয় না, তাই একবার কেউ সংগ্রহ করলে প্রতি বছরে বছরে অর্ডার পাওয়া যায় না তার কাছ থেকে। তবে তার তৈরি মূর্তি অন্য কারোর ঘরে শোভা পায়, এটা অনেকটাই গর্বের তার কাছে।
মিনি আর্মেচার যে আগামীর ভবিষ্যৎ, সে ব্যাপারে নিশ্চিত। তাই আগামীতে এ ধরনের কাজই বেছে নেবে পেশা হিসেবে, সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালো রোহন। তবে রোহনের বানানো প্রতিমা র যাবতীয় সাজসজ্জা শিল্পী অমল কুন্ডু প্রস্তুত করে থাকেন।