মলয় দে, নদীয়া :- বসবাসের বাড়ি জঞ্জালমুক্ত রাখতে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলার অঙ্গীকারে শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ! কিছুটা সাধারণ মানুষের অসচেতনতা এবং কিছুটা দীর্ঘদিন পৌরসভায় স্থায়ী পৌর প্রশাসক না থাকার কারণে শান্তিপুরের অনেক নাগরিক বাড়িতে বসে জঞ্জাল ফেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন! তবে পৌরসভায় প্রশাসক সহকারী প্রশাসক এবং প্রশাসক মন্ডলী গঠিত হওয়ার পর আশায় বুক বেধেছেন শহরবাসী। পাড়ার একটি নির্দিষ্ট স্থানে পরিত্যক্ত জঞ্জাল সংগ্রহর কাজ চালু ছিল বলেই দাবি করেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ।
পৌরসভার সহকারী প্রশাসক শুভজিৎ দে জানান এবার থেকে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে বাড়ির আবর্জনা রাখার বালতি। প্রতিদিনই পৌরসভার সাফাই কর্মীদের বালতি সংগ্রহের মাধ্যমে চলবে আবর্জনা মুক্ত অভিযানের কাজ। এখনো পর্যন্ত ৩৬০০০ হোল্ডিং এর জন্য ৭২০০০ বালতি এসে পৌঁছেছে। যা খুব শীঘ্রই বন্টন করা হবে শান্তিপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২৪টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি পরিবারে। যদিও প্রাথমিক ভাবে ৭ নম্বর এবং ১৯ নম্বর এই ওয়ার্ড দুটিতে চালু হওয়ার পর পৌঁছে যাবে বাকি ২২ টি ওয়ার্ডেই।
যদিও এর আগেও শান্তিপুর পৌরসভার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি জনবহুল এলাকায় আবর্জনা জমে থাকার কারণে একাধিকবার ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীদের মধ্যে ! পরিত্যক্ত জঞ্জালে অগ্নিসংযোগের দুর্ঘটনাও ঘটে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে বারবার । দমকল বাহিনীর তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে রক্ষা পায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে। পৌরসভার এধরনের উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি শান্তিপুরের শহরবাসী ।