নন্দকুমার এর বিশ্বমানের গোলে চার বছর পর অবশেষে ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লো লাল হলুদ শিবির

Social

মলয় দে নদীয়া :-কথায় বলে সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল। ঘটি এবং বাঙালদের মতো ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দলের সমর্থকদেরও ফুটবল খেলা নিয়ে চলে একটি মিষ্টি লড়াই। দীর্ঘদিনের এই লড়াইয়ের অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ডার্বির ম্যাচের প্রত্যেকবারই উত্তেজনার পারদ থাকে সমস্ত ফুটবলপ্রেমীদের মনে।

শনিবার ইন্ডিয়া অয়েল ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ম্যাচটি শুরু হয় বিকেল ৪:৪৫ মিনিটে কলকাতা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সকাল থেকেই একে একে শহরতলী তথা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান সমর্থকরা ভিড় করে পৌঁছেছিল মাঠে। তবে মাঠ তেমনভাবে পুরোপুরি ভরেনি বলেই জানা যায় সুত্র মারফত। মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচে কিক অফের সময়ও গ্যালারির অর্ধেক অংশই ছিল ফাঁকা। জানা যায় টিকিট ছাড়া হয়েছিল ৬৩ হাজার ৫০০ চাহিদাও ছিল টিকিটের ব্যাপক তবে ডার্বিতে সরকারিভাবে দর্শক উপস্থিতির সংখ্যা ৫০ হাজারের এর কিছু বেশি।

হাতেগুনে ১৬৫৭ দিন পরে ডার্বির জয়ে ফেটে পড়লো লাল হলুদ শিবির। দ্বিতীয়ার্ধর শুরু থেকেই আক্রমণে নিজেদের ঝাঁজ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। উইনিং এ একদিকে নন্দকুমার ও অন্যদিকে নাওরেম মাহেশ ছিলেন গ্রুপের তাস। খেলার ৫৬ মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য গোল পেল না মোহনবাগান। আনোয়ার আলীর দুর্দান্ত শর্ট অল্পের জন্য বারপোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। নন্দকুমার এর বিশ্বমানের গোলে চার বছর পর অবশেষে ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের। বিশ্বমানের গোল করে দলকে জেতালের নন্দকুমার। খেলার প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় দুরন্ত গোল করেন চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করা ২৭ বছরের তরুণ ফুটবলার। মূলত তার ফলেই বহু বছর পর ডার্বিতে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল শিবির। শেষবার ২০১৯ সালে ডার্বি জিতেছিল এই লাল হলুদ শিবির।

স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ের পরে আনন্দে ও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। সবুজ মাঠ ঢেকে যায় লাল হলুদে। আর তার পাশাপাশি জয়ের আনন্দে ও উৎসবে মেতে উঠে নদীয়ার শান্তিপুরের গর্ব আমার লাল হলুদ বাহিনী। আর সেই চিত্রই ফুটে উঠল আমাদের ক্যামেরায়। প্রসঙ্গত সকালে, শান্তিপুর লোকালে ইস্টবেঙ্গলের সংখ্যা কম থাকার কারণে মোহনবাগানের মিছরির ছুরির যোগ্য জবাব দিলো, হাড়িভরা মিষ্টির দিয়ে , তারা জানালেন খেলাটা রেলওয়ে স্টেশনে কিংবা, টিকিট হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশে হয় না, খেলাটা হয় মাঠে যেখানে আজ ইস্টবেঙ্গল প্রমাণ করলো তারাই সেরা, মোহনবাগানের বিদ্রুপ যতবার ডার্বি ততবার হারবি র আত্ম অহমিকা আজ ভেঙে ছারখার।
যদিও মোহনবাগানের পক্ষ থেকে জানানো হয় খেলা ভালো হয়েছে শুভেচ্ছা জানাই তাদের। তবে বিগত দিনের বহু রেকর্ড রয়েছে মোহনবাগানের, যা ছুঁতে কেটে যাবে আরো কয়েক যুগ।

Leave a Reply