হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তবৃন্দেরর আয়োজনে লাখো মানুষের সমাগম নদীয়ার নৃসিংহপুরে

Social

মলয় দে নদীয়া:-উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি। মতুয়া সম্প্রদায়ের ঠাকুরের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধার প্রতি কষ্ট সহিষ্ণু ভক্তেরা পদব্রজে নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নদীয়ার শেষ সীমান্তে গঙ্গা নদীর তীরে নৃসিংহপুর ( কালনা ঘাট) মন্দিরে জমা হয়েছেন ৫০ টিরও বেশি ভক্তবৃন্দের দল।

একেকটি দলে দেড়শ দুইশ জন করে আবালবৃদ্ধবনিতা প্রত্যেকে খালি পায়ে হরিব্বোল ধ্বনী বাজনা সহ নগর পরিক্রমা করতে করতে মন্দিরে প্রবেশ করে। অসাধারণ অভ্যর্থনা, কুলো ডালা ষষ্টাঙ্গে প্রণাম, করজোড়ে আমন্ত্রণে আয়োজকরা নিয়ে যায় মন্দিরে।

আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে মনিন্দ্র ঠাকুর ভক্তবৃন্দের সহযোগিতায় গড়ে তোলে এই মন্দির। তিনি গত হওয়ার পর বর্তমান দায়িত্বে বীরেন ঠাকুর। আজ সন্ধ্যে সাতটা থেকে শুরু হয় রান্নার আয়োজন, কুটনো কাটা, রান্না, পরিবেশন সবটাই একভাবে আজ থেকে চলবে কাল বিকাল পর্যন্ত। বীরেন বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী কোন ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয় না, প্রতিবছরই আগে থেকে দায়িত্ব ঠিক না করলেও, ঈশ্বরের কৃপায় এত বড় আয়োজনে লেগে পড়ে ভক্তবৃন্দ নিজেরাই, এমনকি খাদ্য খাবার শেষ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি ঘটলে কি যে কোথা থেকে চাল ডাল তরকারি এনে দেয় বলতে পারবোনা। তবে অদ্ভুত কারণে শুরুটা আমরা করলেও ঠাকুরের ইচ্ছায় কোন মানুষ অভুক্ত থাকেন না।

এত শীতের রাত্রে, কাউকে গরম পোশাক পরতে হয় না, রান্নার আগুন, খাদ্য খাবারের গরম, এত মানুষের সমাগম, কর্মব্যস্ততা সর্বোপরি বাজনার তাহলে ঈশ্বরের প্রতি নিজের আনন্দ উপলব্ধিতে নৃত্য হার মানিয়ে দেয় প্রকৃতিকে। উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে জানা যায় প্রারম্ভিক খাবারের জন্য 50 হাজার কাগজের থালা ব্যবস্থা হলেও শেষ পর্যন্ত তা পৌঁছে যায় লক্ষাধিক ।

Leave a Reply