মলয় দে নদীয়া :- গতকাল রবিবার ছুটি থাকার পর আজ সোমবার বিদ্যালয়ের অফিস ঘর খুলতেই অফিসের বিভিন্ন উপকরণ লন্ডভন্ড অবস্থায় দেখে হতবাক শিক্ষকগণ। অথচ বাইরের প্রধান দুটি গেট আটকানো। যদিও বেশ কিছু বিদ্যালয়ের মতন এই বিদ্যালয়েও প্রতিটা ঘরেই ভেন্টিলেশনের জন্য ফাঁকা জায়গাটি বেশ বড়। আর শিক্ষকদের অনুমান সেইখান থেকে প্রবেশ করেছে চোর। এরপর কম্পিউটারের কিবোর্ড ভাঙ্গা, দু তিনটি সিগারেট খাওয়া, এবং বিভিন্ন আলমারি থেকে কাগজপত্র মাটিতে ফেলে লণ্ডভণ্ড করে বেশ কিছুটা সময় ধরে।বিদ্যালয় এখনো সিসি ক্যামেরা না থাকার ফলে ধোঁয়াশায়।
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বয়রা শম্ভুনাথ বসাক স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আজ সকাল দশটা নাগাদ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গৌতম দাস প্রথম লক্ষ্য করেন, অফিস ঘরের চিত্র, এরপর প্রধান শিক্ষক বাসুদেব দালালকে নিয়ে দ্বিতলের একটি ঘরে রাখা আলমারিতে আনুমানিক পাঁচ হাজার টাকার হদিশ পান না তারা । প্রধান শিক্ষক বাসুদেব দালাল জানান, স্থানীয় ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জানানোর পর তারা এসে ক্ষতিয়ে দেখে যান, বিষয়টি জানানো হয়েছে নতুন চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কেও। দরজায় সামান্য একটি ছোট তলা দেওয়া, আলমারি এবং লকারের লক খারাপ অবস্থায় টাকা রাখার নিয়ে উঠেছে গাফিলতির প্রশ্ন। তবে তা এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েই প্রধান শিক্ষক জানান, সচেতন হওয়া উচিত ছিল আগে থেকেই। আসলে এ ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি তাই, ভেবেছিলাম পাড়ার মধ্যে বিদ্যালয়ে কে ই বা চুরি করতে আসবে? তবে ইউনিফর্ম দ্রুত বা অন্যান্য কিছু চুরি হয়েছে কিনা তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।