নন্দ উৎসব! করোনা পরিস্থিতি হোক বা আধুনিকরণ ধর্মীয় রীতি-নীতি অনেকটাই ম্লান

Social

মলয় দে, নদীয়া : সনাতন ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস সুত্রে জানা যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পরে আহ্লাদিত ও অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে নন্দের রাজা সকলকে উপহার বিতরণে মেতে উঠেছিলেন । এই বিশেষ উৎসব বা অনুষ্ঠান এককথায় আনন্দ উৎসব বলেই সুপরিচিত ছিল প্রাচীন কাল থেকেই । এই মহোৎসবের স্মরণে সারা ভারতবর্ষের সনাতন ধর্মাবলম্বী জন্মাষ্টমীর পরের দিন এই উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে । শ্রী কৃষ্ণের জন্ম তিথির মাহাত্ম্য স্মরণ করতেই এই বিশেষ অনুষ্ঠান । নন্দ রাজার নেতৃত্বেই এই অনুষ্ঠান সংগঠিত হয়ে ছিল বলে এটি নন্দ উৎসব নামে পরিচিত।

গতকাল শান্তিপুরের সমস্ত বিগ্রহ পরিবার গুলিতে অর্থাৎ বড়ো গোস্বামী , পাগলা গোস্বামী , বাঁশ বুনিয়া , চাকফেরা , মদন গোপাল , মধ্যম গোস্বামী পরিবার, উড়িয়া গোস্বামী , বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী পরিবার সহ সমস্ত বিগ্রহ বাড়ি থেকে শুরু করে শ্যাম চাঁদ থেকে কালাচাঁদ ও বংশিধারী সমস্ত মন্দিরেই বিভিন্ন প্রকার ফলমূল একদল বালকের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয় সকল বিগ্রহ বা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে । আর জল কাদার মাঝে মাঝে একদল বালক সেই ফল কাড়া কাড়িতে মেতে ওঠার অনুষ্ঠানই বর্তমানে নন্দৎসব নামে সুপরিচিত। হরিপুরে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান প্রচলিত থাকলে তা এবছর বন্ধ আছে। জেলার দত্তফুলিয়ায় গতকাল রাতে এধরনের একটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ওই এলাকার যুবকরা। অনেক উঁচুতে মাটির হাড়িতে ননীক্ষীর জাতীয় খাদ্য খাবার রেখে, এবং তা পাড়ার জন্য তলায় কাদা করে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় তারা, অবশেষে সকলের সিদ্ধান্তে কাধে পা দিয়ে পিরামিড আকৃতি করে অবশেষে সেই হাড়ি ফাটিয়ে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply