সোশ্যাল বার্তা: ২ রা নভেম্বর কৃষ্ণনগরের বিশিষ্ট ব্যক্তি তথা চিকিৎসক ডা: শ্যামসুন্দর সরকার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত রবিবার ডা. শ্যামসুন্দর সরকারের স্মরণসভা হলো তাঁর কৃষ্ণনগরের বাসভবনে। এই স্মরণ সভায় নদী, পরিবেশ ও বিজ্ঞান কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নদী, মরণোত্তর দেহ ও চক্ষুদান বিষয়ে আলোচনা করা হয় এই স্মরণ সভায়।
নদীয়া জেলার কর্নিয়া সংগ্রহকারী সংস্থা মরমী’র সদস্যরা স্লাইড শো এর মাধ্যমে সবার সামনে বিষয়টি সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য জীবিতকালে ডা: শ্যামসুন্দর সরকার চেয়েছিলেন ওনার মৃত্যুর পর যেন চক্ষুদান করা হয়। সেই মত অত্যন্ত তৎপরতার সাথে নদীয়ার কর্নিয়া সংগ্রহকারী সংস্থা শান্তিপুর মরমী’র সহযোগিতায় চক্ষুদানের কাজ সম্পন্ন হয়। এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন রাখী পত্রিকার সম্পাদক বিমল সরকার।
বাদকুল্লার রাখী পত্রিকার সম্পাদক বিমল সরকার জানান,ডাক্তারবাবুর মৃত্যুতে পরিবারের সাথে আমরা রাখী পত্রিকার সাথীরা গভীরভাবে শোকাহত। সাথে সাথে চক্ষু দানের মতন একটা বিরল এবং মহৎ কাজ ওনার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে আমরা তাদের পরিবারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তিনি জীবদ্দশায় যেমন বহু মানুষের সেবা করে প্রিয় পাত্র হয়েছিলেন মৃত্যুর পরেও ওনার পরিবার কর্নিয়া দানের মাধ্যমে দুজন দৃষ্টিহীনকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করলেন।
এই প্রসঙ্গে তার পুত্র ডা: কৌশিক সরকার বলেন,বাবার আদর্শের কথা মাথায় রেখে তাঁর ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়েই চক্ষুদানটি তাঁর পরিবারের সদস্য হিসাবে সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজটি করেছি মাত্র। নদীর কাজ নিয়েও প্রায় প্রতিদিনই খোঁজ খবর নিতেন বাবা। রুগী দেখা ছাড়াও রাজনীতি ও ফুটবল খেলা বিশেষ করে মোহনবাগান ও ব্রাজিল নিয়েও সমান আগ্রহ থাকতো তার প্রতিদিনের রোজনামচায়। মৃত্যু এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমরা নদী কে বাঁচাতে সব বাধা,বিঘ্ন,ভুল বোঝাবুঝি ভুলে আমাদের কাজ জারী রাখবো।