মলয় দে, নদীয়া : বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস উপলক্ষ্যে শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরির ময়দান থেকে গতকাল সকাল আটটায় একটি বর্নাঢ্য প্রভাত ফেরীর আয়োজন করা হয় শান্তিপুর ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশনের এর পক্ষ থেকে । শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরির ময়দান থেকে এই পদযাত্রাটি বেরিয়ে কাশ্যপ পাড়া, কুটির পাড়া ও ডাকঘর হয়ে পুনরায় শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরীতে এসে তাদের পদযাত্রা সমাপ্ত করে ।
তবে এদিন তাৎপর্য পূর্ণ ভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় শান্তিপুরের সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে শান্তিপুর ফটোগ্রাফির সদস্যদের গাছের চারা তাদের সংগঠন এর নাম সম্বলিত পেন বিতরণ করে এক বিশেষ সৌজন্য প্রদর্শন করতে । বিগত বছর করোনা র কারণে তাদের এই দিনটিকে এইভাবে স্মরণ করা সম্ভব হয় নি , তবে অনুষ্ঠান আয়োজনকারী দের প্রধান উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ে দের ছবি তোলার মত এক বিশেষ শিল্পের প্রতি বিশেষ ভাবে আকর্ষণীয় করে তোলা ও জনমানসে চিত্র বা ছবি জড়ো পদার্থ হলেও সে যে কথা বলতে পারে এমন বিষয়টি প্রতিপন্ন করা। ফটোগ্রাফি একদিকে যেমন শিল্পের অন্যদিকে জীবিকাও। ঘাঁটলে দেখা যায়,সভ্যতার উৎকর্ষে যে কয়টি শিল্প মাধ্যম তৈরী হয়েছে, তার মধ্যে ফটোগ্রাফি ধরে রেখেছে তার স্বতন্ত্র অবস্থান। ফরাসি উদ্ভাবক ‘জোসেফ নিসেফোর নিপেক’ প্রথম ছবিটি তিনি তোলেন ১৮২৭ সালে। তাকেই বলা হয় ফটোগ্রাফির জনক। তিনি ছিলেন ফ্রান্সের একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা।
১৮৩৭ সালে নাইসফোর নিপেক ও লুইস ডে গুরে, ডেগুরে টাইপ ফটোগ্রাফিক সিস্টেম আবিস্কার করেন। এই উপায়ের নাম হল ড্যা গুইররিয়ো টাইপ। বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যাবহারিক এ উপায় আবিষ্কার করেন১৯৩৯ সালের ১৯ আগস্ট ফ্রান্স সরকার এটিকে স্বীকৃতি দান করে। তখন থেকেই ফটোগ্রাফিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তখন থেকে আজ ডিজিটাল যুগ পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে লাখো মানুষ কোটি কোটি ছবি তোলে ।