জানেন কি জাতীয় পতাকা বিধি ? বিস্তারিত জানুন…

Social

মলয় দে নদীয়া:- আজ ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি আর ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস আর সেই উপলক্ষে দেশ জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে একাধিক অভিনব পরিকল্পনা। চলতি বছরে পালন করা হচ্ছে ‘আজাদি কা অমৃত মহোত্‍সব’ কর্মসূচী। আর এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবেই এবছর স্বাধীনতা দিবসে ‍‍`হর ঘর তিরঙ্গা‍‍`র ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।দেশের প্রতি মানুষকে এই প্রকল্পে সামিল হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

এ বছর কেন্দ্রের তরফে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচীর যে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, তাতে সরকারি ভবন সহ দেশের ২০ কোটি বাড়ির মাথায় জাতীয় পতাকা ওড়ানোর সংকল্প করা হয়েছে। গত ১৩-১৫ অগাস্ট দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে পতাকা উত্তোলন করলেও জানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। জাতীয় পতাকাকে যথাযথ সম্মান জানাতে তিরঙ্গা উত্তোলনের আগে সেই সকল নিয়্ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত্‍। উল্লেখ্য, এ বছর ঘরে ঘরে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচী পালনের জন্য ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কোডে কিছুটা সংশোধনও এনেছে সরকার। আগে শুধু সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল। তবে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচীতে সারা দিন-রাত ধরে এই তেরঙ্গা তুলে রাখা যাবে বাড়িতে।

ভারতীয় পতাকা বিধি ২০২২-এর দ্বিতীয় ভাগের ২.২ অনুচ্ছেদের সংশোধিত ১১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, এবার দেশের যে কোনও নাগরিকের বাড়িতে যে কোনও সময় জাতীয় পতাকা তোলা যেতে পারে। রাতের বেলাতেও তা তোলা যাবে। তবে মাথায় রাখতে হবে এই পতাকার আকৃতি যেন বড় হয় এবং তা যেন ছেঁড়া না থাকে। পাশাপাশি আগে পলিয়েস্টারের তৈরি বা মেশিনে তৈরি পতাকা উত্তোলনের অনুমতি না থাকলেও নতুন নিয়ম অনুযায়ী, হাতে বা মেশিনে তৈরি যে কোনও ধরনের পতাকাি উত্তোলন করা যাবে।

এছাড়াও পতাকা উত্তোলনের মানতে হবে আরও কয়েকটি নিয়ম। জাতীয় পতাকার স্থান সব সময় উঁচুতে থাকতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। যে দণ্ডে জাতীয় পতাকা থাকবে সেখানে অন্য কোনও পতাকা রাখা যাবে না। কোনও রকম বিকৃত বা ছেঁড়া পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।

জাতীয় পতাকার অনুপাত হবে ৩:২। পতাকায় কোনও অক্ষর লেখা থাকবে না। দেখতে হবে পতাকা যেন অর্ধেক উত্তোলন করা না হয়। পতাকাটি মাটিতে ফেলা যাবে না। জাতীয় পতাকার রঙে কোনও পোশাকও পরা যাবে না। এছাড়াও কোনও ব্যক্তির মৃতদেহের কফিনে অথবা চিতায় জাতীয় পতাকা দেওয়া চলবে না।

সম্প্রতি দেশের পতাকা বিধি কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তন করেছে । যার ফলে এখন দিনে ও রাতে তিরঙ্গা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়াও ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বরে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সংশোধিত সেই কোড অনুযায়ী পলিয়েস্টার ও মেশিনের তৈরি জাতীয় পতাকাও ব্যবহার করা যাবে।আগে উল, তুলা, সিল্ক, খাদি প্রভৃতির হাতে বোনা কাপড়ই ব্যবহৃত হতো পতাকা তৈরির জন্য।

ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বদা আয়তাকার হবে। দৈর্ঘ্য এবং উচ্চতার অনুপাত ৩:২ হওয়া উচিত।

পরিবর্তিত বিধি অনুসারে বর্তমানে পতাকা উত্তোলনে কোন বাধা নেই। যেকোনো সাধারণ মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা যে কারোর বাড়িতে উত্তোলন করতে পারেন আমাদের জাতীয় পতাকা। এমনকি যে কোনদিন যেকোন অনুষ্ঠানে পতাকাকে সম্মান জানিয়ে তা উত্তোলন করা যেতেই পারে।

এর আগের নিয়ম অনুসারে শুধুমাত্র সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা উত্তোলনের নিয়ম ছিল তবে এখন থেকে রাতেও পতাকা উত্তোলন করা যাবে তবে কোন ছেঁড়া পতাকা উত্তোলন করা উচিত নয়।

তবে কোনও যানবাহনে পতাকা লাগানো উচিত নয়। নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির গাড়ি ছাড়া যানবাহনে পতাকা লাগানো যায় না । তবে শুধু রাষ্ট্রপতি উপরাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট গভর্নর, প্রতিমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, ভারতের প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্টের বিচারপতির গাড়িতে জাতীয় পতাকা বসানো যেতে পারে।

কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারে এবং কোন দিনে পারে?

ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার ২.২ অনুচ্ছেদ, ২৬ জানুয়ারি, ২০০২-এ কার্যকর হয়েছিল। এই কোড অনুয়ায়ী, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা, বেসরকারি বা সরকারি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কাউট ক্যাম্প-সহ) ‘সব দিন এবং অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা প্রদর্শন করতে পারে। তবে, সেটা করতে হবে জাতীয় পতাকার মর্যাদা এবং সম্মানের সঙ্গে মিল রেখে।’

কীভাবে একটি জাতীয় পতাকা পছন্দ করা উচিত?
পতাকাটি ইচ্ছেমতো বড় বা ছোট হতে পারে। ‘কিন্তু, জাতীয় পতাকার প্রস্থ এবং দৈর্ঘ্যের অনুপাত ৩:২ হতে হবে।’ সুতরাং, পতাকাটি অবশ্যই একটি আয়তক্ষেত্র হতে হবে। ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১-এ একটি সংশোধনীর পরে, হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি পতাকার উপাদান তুলা, পলিয়েস্টার, উল, সিল্ক বা খাদিও হতে পারে। পতাকাটি খোলা জায়গায় বা কোনও ব্যক্তির বাড়িতে রাখলে তা দিনরাত ওড়ানো যেতে পারে।

যদি পতাকার উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হয়
ক্ষতিগ্রস্ত বা ছিন্নভিন্ন জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা আইন বিরুদ্ধ। সর্বদাই, জাতীয় পতাকা সম্মানের সঙ্গে প্রদর্শন করা উচিত এবং স্বতন্ত্রভাবে রাখা উচিত। ‘জাতীয় পতাকার চেয়ে উঁচু বা ওপরে বা পাশাপাশি অন্য কোনও পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। যেখানে জাতীয় পতাকা তোলা হয়, তার ওপর ফুল বা মালার প্রতীক-সহ কোনও বস্তু রাখা যাবে না। তিরঙ্গাকে কখনও ফেস্টুন বা অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। যে খুঁটি থেকে এটি উড়ছে, সেখানে কোনও বিজ্ঞাপন বা ফেস্টুন লাগানো উচিত নয়।’

হর ঘর তেরঙ্গা প্রোগামের অঙ্গ হিসাবে কেন্দ্র পতাকা কোড – ২০০২ টুইট করার সাথে, লোকেরা এখন দিন রাত তাদের বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীন ভারতের ৭৫ বছর স্মরণে ‘আজাদি কা অমৃত মহোত্‍সব’-এর অংশ হিসাবে ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন।

২০ কোটি মানুষের ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় বেশ কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হয়, যাতে কোনও ভাবেই তেরঙ্গার অবমাননা না হয়। এখানে কিছু করণীয় এবং না করার একটি তালিকা রয়েছে।

কী কী নিয়ম আছে ?

পতাকা কোড ২০০২ অনুযায়ী, তেরঙ্গা আয়তক্ষেত্রাকার হওয়া উচিত। এটি যেকোনো আকারের হতে পারে, তবে এর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত অবশ্যই ৩:২ হতে হবে।

– কোডে উল্লিখিত বিশেষ দিনগুলিতে, কাগজের তৈরি তেরঙ্গা সুতোদিয়ে বাধার যেতে পারে, তবে সেগুলি ছুঁড়ে বা ছিঁড়ে ফেলা যাবে না। কাগজের তৈরি তেরঙ্গাকে সম্মানের সাথে তুলে রাখা প্রয়োজন।

– তেরঙ্গা উত্তোলন প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার, তবে এর অর্থ এই নয় যে কেউ এটি গাড়িতে রেখে ঘোরাফেরা করতে পারে। ফ্ল্যাগ কোড অনুসারে, শুধুমাত্র সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা সেটা করতে পারেন।

বিদেশী অতিথির গাড়ি

যদি কোনও বিদেশী অতিথিকে কেন্দ্রের একটি গাড়ি দেয়, তবে সেই গাড়ির ডানদিকে তেরঙ্গা থাকবে, আর সেই দেশের জাতীয় পতাকা বাঁদিকে থাকবে। রাষ্ট্রপতি একটি বিশেষ ট্রেনে ভ্রমণ করলে, ট্রেন দাঁড়ানোর সময় প্ল্যাটফর্মের চালকের কেবিনে তেরঙ্গা প্রদর্শিত হবে। রাষ্ট্রপতি যদি বিমানে ভ্রমণ করেন, তাহলে তার ওপর জাতীয় পতাকাও লাগানো হবে। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী বা উপ-রাষ্ট্রপতি কোনও দেশে ভ্রমণ করলে বিমানে জাতীয় পতাকা লাগানো হয়।

– বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলে তা যেন কাত না হয়, মাটি স্পর্শ না করে বা জল না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

রঙের ব্যবহার তেরঙ্গার উপরে গেরুয়া এবং নীচে সবুজ থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই উপরে সবুজ এবং নীচে গেরুয়া থাকা উচিত নয়।

-পতাকায় কিছু লেখা যাবে না। যে কোনো পোশাক বা ইউনিফর্মের কোনও অংশে ত্রিবর্ণ পরিধান করা নিষিদ্ধ। কোনও ]বালিশ বা রুমালে তেরঙ্গার নকশা থাকা উচিত নয়।

– পতাকা কোনো ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সহ কোনো আকারে মোড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এটি কোন পণ্য প্রদান, রাখা বা বহন করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। তবে, স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবস সহ বিশেষ অনুষ্ঠানে তেরঙ্গার ভিতরে ফুলের পাপড়ি রাখা যেতে পারে।

– কোন মূর্তি বা ভবন ঢেকে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। এটি কোনও যানবাহন, ট্রেন, নৌকা বা বিমানে ইনস্টল করা যাবে না। এটি শুধুমাত্র সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের গাড়িতে স্থাপন করার অনুমতি দেওয়া হয়।

পরিষ্কার রাখতে হয়…………

পতাকা ছেঁড়া বা নোংরা করা উচিত নয়। বাড়িতে বা কোনও প্রতিষ্ঠানে যদি তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়, তবে এর সমান বা উচ্চতর কোনও পতাকা থাকা উচিত নয়।

-যদি কোনও কারণে ছিঁড়ে যায় বা পুরাতন হয়ে যায়, তাহলে সম্মানজনকভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে। জাতীয় পতাকা নির্জনে বা অন্য কোনো উপায়ে কোথাও পুড়িয়ে সম্মানের সঙ্গে ধ্বংস করা যেতে পারে।

অবমাননা করলে……..

তেরঙ্গার অবমাননা করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। এর জন্য জাতীয় গর্বের অবমাননা প্রতিরোধ আইন, ১৯৭১-এর ২ ধারায় একটি বিধান করা হয়েছে। এর অধীনে যে কোনওভাবে তেরঙ্গা পোড়ানো, পিষে দেওয়া, ছিঁড়ে ফেলা বা ক্ষতি করা অপরাধ হবে এবং যে কোনও জনসাধারণের মধ্যে সংবিধানের ক্ষতি হবে।

তেরঙ্গার সম্মান অক্ষুণ্ণ রক্ষায় দেশে কার্যকর পতাকা বিধি………

তেরঙ্গার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশে ‘ফ্ল্যাগ কোড ২০০২’ বিধি রয়েছে (Flag Code)। তেরঙ্গার অমর্যাদা প্রতিহত করতে রয়েছে জাতীয় সম্মান আইন, ১৯৭১-এ। তাই তেরঙ্গা উত্তোলন এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি মেনে চলা জরুরি, যার বিশদ বর্ণনা রয়েছে ‘ফ্ল্যাগ কোড ২০০২’ বিধিতে। পতাকা উত্তোলন, তার ব্যবহার এমনকি তার প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু নিয়ম।

২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি দেশে কার্যকর হয় ‘ফ্ল্যাগ কোড’। তিনটি ভাগে পতাকা বিধিকে ভাগ করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ নাগরিকের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নিয়ম।

তেরঙ্গা তৈরির উপাদান………….

শুরুতে পলিয়েস্টার দিয়ে তৈরি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে তেরঙ্গা তৈরির অনুমোদন ছিল না। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেই নিয়ম সংশোধন করে সরকার। পলিয়েস্টার ব্যবহার করে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে তেরঙ্গা তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। তাই বর্তমানে সুতি, খাদি, সিল্প, উলের পাশাপাশি মিশ্র উপাদানের পলিয়েস্টার দিয়েও হাতে এবং যান্ত্রিক পদ্ধতিতে তেরঙ্গা তৈরি করা যায়।

জাতীয় পতাকার প্রদর্শন কখন কাম্য…………..

সরকারি, বেসরকারি এবং শিক্ষা ও গণ প্রতিষ্ঠানগুলির অনুষ্ঠানে বছরের সবদিনই পতাকা প্রদর্শনের অনুমতি রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রের তেরঙ্গার মর্যাদা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, তা সুনিশ্চিত করা জরুরি।

জাতীয় পতাকার উত্তোলন…….

সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমানে সূর্যাস্তের পরও তেরঙ্গা উত্তোলন করা সম্ভব। আগে সূর্যাস্তের পর পতাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ ছিল।

গাড়িতে তেরঙ্গা লাগাতে পারেন কারা……….

সরকারি ক্ষেত্রে বিশেষ পদাধিকারী ব্যক্তি, অনুমোদন সাপেক্ষে গাড়িতে তেরঙ্গা লাগাতে পারেন। গাড়িতে তেরঙ্গা লাগাতে পারেন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, দেশের প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, হাইকোর্টের বিচারপতি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।

পতাকা উত্তোলনের পর…….

ব্যবহার এবং উত্তোলনের পর জড়ো হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পতাকা পুড়িয়ে ফেলা যায়। সে ক্ষেত্রে আগে পতাকা মুড়তে হবে যত্ন সহকারে। নির্দিষ্ট জায়গা বেছে নিয়ে আগে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কাঠের উপর আগুন ধরাতে হবে, তার মাঝে রেখে দিতে হবে পতাকা। হাতে ধরে পতাকায় আগুন ধরানো কাম্য নয়। অথবা এমন ভাবে কাপড় নষ্ট করতে হবে, যাতে পতাকার অমর্যাদা না হয়। ধরে ধরে পতাকা মুড়ে, বাক্সে পুরে মাটির নীচে পুঁতে দেওয়ায় যায়। সে ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করতে হয়। কাগজের পতাকা ব্যবহারের পর মাটিতে ফেলে দেওয়া তেরঙ্গার অবমাননা হিসেবেই ধরা হয়।
খেয়াল রাখবেন পতাকা যেন সম্মানের সঙ্গে উত্তোলন করা হয়। এক্ষেত্রে পতাকার উত্তলনের জন্য দণ্ডটি স্বতন্ত্রভাবে স্থাপন করা উচিত।

•ভুলেও কোনো ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা বিকৃত পতাকা উত্তোলন করবেন না। জাতীয় পতাকা সবসময় নিখুঁত অবস্থায় থাকা উচিত।

•জাতীয় পতাকা যেন কখনোই উল্টে না যায় অর্থাত্‍ খেয়াল রাখবেন উপরে থাকবে গেরুয়া রং, মাঝে সাদা এবং নিচে সবুজ রঙ ।

•জাতীয় পতাকা দিয়ে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে অভিবাদন জানানো উচিত নয়।

•কোন ফুল, মালা কিংবা প্রতীক সহ কোন বস্তু পতাকা মাস্তুলের উপর রাখবেন না।

•কোন কিছু সাজাতে বা ফেস্টুন তৈরিতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা উচিত নয়।

•জাতীয় পতাকা কোন অবস্থাতেই মাটিতে ফেলে রাখবেন না কিংবা খেয়াল রাখবেন পতাকা যেন নোংরা জলের স্পর্শে না আসে।

•সম্মানের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে পতাকা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে সকাল ৯ টার পর।

Leave a Reply