নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতিতে আজও মুখোরিত নবদ্বীপের রাধারমন সেবাশ্রম

Social

মলয় দে নদীয়া:- ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে অমৃত  মহোৎসব উদযাপনে মেতেছে গোটা দেশ বাসী।স্বাধীনতার এত সময় কেটে গেলেও আজও নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুর স্মৃতিতে তরতাজা নবদ্বীপ শহরের বড়াল ঘাট ৮ নং ওয়ার্ডে রাধারমন সেবাশ্রম জুড়ে।

এই আশ্রমের প্রতিটি আনাচে কানাচে, আজও নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুর অস্তিত্ব অনুভব হয়। ১৯৯৬ সালে গৌরহরি বাবাজী অনাথ, অসুস্থ আর্ত মানুষের সেবায় মাতৃ মন্দির নামে এই আশ্রমটি তৈরী করছিলেন।
পরে এটি চিকিৎসার জন্য আত্মপ্রকাশ করে।
১৯১১ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রাধারমণ সেবাশ্রম।
বর্তমানে এই আশ্রমটি হেরিটেজ কমিশন দ্বারা ঐতিহ্য শালি বা ঐতিহাসিক স্থান রূপে ঘোষিত হয়েছে। তাদের এই সেবাকার্যের কথা লোকমুখে শুনে ১৩/০৬/২৮ তারিখে এই আশ্রমটি পরিদর্শন করতে আসেন স্বয়ং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস।এসে একটি চিঠি বা আশ্রম সম্পর্কে তার মতামত লিখে যান।

জনহিতকর কার্যের জন্য এই আশ্রমের উত্তরোত্তর উন্নতির কামনা করে তিনি লিখেছিলেন,
লোক মুখে এই প্রতিষ্ঠানের কথা বা সুখ্যাতি শুনিয়া আসিতেছি, আজ পরিদর্শন করিয়া বিশেষ আনন্দিত হইলাম।
নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের লেখা ওই পত্রটি আশ্রম কতৃপক্ষের তরফে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি আশ্রম কতৃপক্ষ আশ্রমের ঢোকার মুখে নেতাজী একটিপূর্ন অবয়ব মূর্তি স্থাপন করেছে, ও সেই চিঠির ফটো কপি সাধারন মানুষের উদ্দেশ্যে সেখানে রাখা হয়েছে।

আশ্রম কতৃপক্ষ আজও নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুর স্মৃতিতে ও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত করে ২৩ শে জানুয়ারি দিনটি।
কড়িবরগাঢয় ঘেরা সেদিনের আশ্রমের ঘর গুলো সহ গোটা আশ্রম চত্বরে আজও নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের অস্তিত্ব অনুভব অনুভূতি হয়। কারন ভারত বর্ষের বীর সন্তান নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু আজও ভারত বাসীর মনের মনিকোঠায় শ্রদ্ধার সাথে আছে এবং থাকবে।
আজ দেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনে তাঁর প্রতি থাকলো আমাদের সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকেও সশ্রদ্ধ প্রনাম। আশ্রমের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

Leave a Reply