কৃষ্ণনগরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীর তৈরি মূর্তি যাচ্ছে জার্মানিতে

Social

সোশ্যাল বার্তা: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাটির কাজ হলেও নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প পৃথিবীজুড়ে সমাদৃত। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির পুতুল পট্টির অনেকেই এখনও সারাবছর নিয়োজিত থাকেন মৃৎশিল্পের কর্মে । ঘূর্ণির বাসিন্দা প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী তড়িৎ পাল নিজের হাতের শিল্প কর্মের মাধ্যমে ২০০৯ সালে পেয়েছেন রাজ্য পর্যায়ের পুরস্কার। ২০০৯ সালেই পেয়েছেন জাতীয় মেধা পুরস্কার ও ২০১২ সালে তার কর্ম নৈপুণ্য’র জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।

এই বছরে করোনার প্রভাব পড়েছে মৃৎশিল্পে তবুও ঘূর্ণির এই মৃৎশিল্পীর মাটি দিয়ে তৈরি অসাধারণ দুর্গা প্রতিমাটি যাচ্ছে জার্মানিতে। শিল্পী জানান, এই দুর্গা প্রতিমাটি প্রথমে যাবে বোম্বে সেখান থেকেই পাড়ি দেবে জার্মানি। প্রবাসী বাঙালি বাড়িতে পুজো করে মূর্তিটি রেখে দেবেন বলে জানিয়েছেন । মূর্তিটি তৈরি করতে সময় লেগেছে এক মাসের বেশী । তিনি আরো জানান ,অন্যান্যবারের তুলনায় এবছরে দুর্গা প্রতিমার অর্ডারও কম তবে লকডাউনকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি পুরোদমে। এই লক ডাউনের সময় তিনি নতুন নতুন জিনিস তৈরি করেছেন ।

শিল্পীর কাজের মধ্যে সহজেই নজর কাড়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ যা অসাধারণ শিল্প নৈপুণ্যে ভরা । তাঁর তৈরি তিন ইঞ্চির দুর্গা প্রতিমা সহজেই মানুষের মন জয় করে নেয়।

কৃষ্ণনগরে তৈরি পুতুলে ব্যবহার করা মাটির গুনও আছে বটে। কৃষ্ণনগরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে জলঙ্গী নদী । জলঙ্গী নদীর দোয়াঁশ মাটি ব্যবহৃত হয় মৃৎ শিল্পের ক্ষেত্রে । বিভিন্ন রাজ্যের পুতুলে ব্যবহৃত মাটির চেয়ে অনেক উন্নত এই জলঙ্গী নদীর মাটি । একদিকে মাটি অন্যদিকে শিল্পীর অসামান্য কর্ম নৈপুণ্য যার মাধ্যমে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প বিশ্বের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে বলাই বাহুল্য ।

Leave a Reply