আদিবাসী দিবসে কৃষ্টি সংস্কৃতি অক্ষুন্ন রাখতে আদিবাসী গ্রাম এবং শহর চিহ্নিতকরণের দাবি

Social

মলয় দে নদীয়া :-ইংরেজদের হাতের মুঠ থেকে দেশমাকে স্বাধীন করার জন্যে বন্দুকের সামনে তীর-ধনুক নিয়ে লড়াই করতে নেমে পড়েছিলেন বীর যোদ্ধা বীরসা মুন্ডা। ভারত উপমহাদেশে আদিবাসীদের মুক্তির জন্য যুগে যুগে যত মহান নেতা অবতীর্ণ হয়েছেন তাদের মধ্যে বিরসা মুন্ডা, সিধু, কানু অন্যতম। লক্ষ লক্ষ মুন্ডা তাঁদের অনুসরণ করে মুক্তির আশা বুকে ধারণ করেছিলেন।

১৯৯৪ সালে ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৯ অগাস্ট দিনটিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আদিবাসীদের দিন হিসেবে পালন করা হবে। ১৯৮২ সালে জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের আদিবাসীদের ওপর ওয়ার্কিং গ্রুপ দিনটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
সারা রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে এই দিবসটি পালিত হলেও, বহু আক্ষেপ এখনো ছোট ছোট গ্রাম শহরের বিভিন্ন আদিবাসী এলাকার মানুষজনদের। নদীয়ার আসান নগর ভীমপুর, কল্যাণী, শান্তিপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই ধামসা মাদলে মেতে উঠেছে। তবে শান্তিপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূত্রাগড় চর আদিবাসী ঝুমুর সম্প্রদায়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্প্রতি জনজাতিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়। প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয় সিধু কানু এবং বিরসা মুন্ডার। কৃষিকাজে শ্রমিক এলাকার মানুষজন তাদের সংস্কৃতি ঝুমুর নাচ, মাদল বাজনা নিয়মিত অনুশীলন করাতে কোন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাননি।
দলনেতা প্রসেনজিৎ মাহাতো জানান দুই একটি সংগঠন এ ধরনের সুযোগ সুবিধা পেলেও শহর গ্রামের বহু সংগঠন আজও রয়েছে ব্রাত্য।

Leave a Reply