মলয় দে’ নদীয়া :- জনসংখ্যার নিরিখে জবা ফুলও চাষে রূপান্তরিত হয়েছিল কিছু বছর আগে। তাতে ও যোগানের ঘাটতি থাকায় কাপড় বা প্লাস্টিকের বিভিন্ন ফুলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে তা ঘর সাজানোর জন্যই হোক বা পুজোর! এবং এর ফলে নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ফুলের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাড়ির মেয়েরা সংসারের সমস্ত কাজ সেরে অনায়াসে সকালের টাকা রোজগার করতে পারে।দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল সমস্ত গন পরিবহন ব্যবস্থা। ফুল পাতা ডাঁটি নানান উপকরণ দিল্লি এমনকি চীন থেকেও আসতো এযাবৎকাল। নদীয়ার কাছাকাছি হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া অঞ্চলে একটি কারখানা থাকলেও দীর্ঘ লকডাউনে পাইকারি ক্রেতার অভাবে তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে উৎপাদিত ফুলের স্টিক, মালা , ঝাড় বিক্রির জন্য হকাররাও লকডাউনে বাড়ির সামনে সবজি মুদি দোকান, বা মাছ ধরার মতন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তাই রমরমা এইরকম একটি ব্যবসা চোখের সামনে লকডাউন এরমধ্যে নষ্ট হয়ে যেতে দেখেছেন নদীয়া শান্তিপুরের গৌরাঙ্গ দাস, সুভাষ বিশ্বাসের মতন দীর্ঘদিন ধরে ফুলের ব্যবসা করে আসা পাইকারি ব্যবসাদাররা। আক্ষেপের সুরে বলেন একসময় এত অল্প মজুরিতে কর্মচারী হিসেবে ঘরের মা বোনেদের জোগাড় করতে হিমশিম খেয়ে যেতাম! আর এখন তারাই কাজের অভাবে ফিরে যাচ্ছে দোকান থেকে। সমস্ত পূজা গুলো শেষ হওয়ার পর অবশেষে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি! কিন্তু ঈদ বিভিন্ন চলে যাওয়া পুজো সেগুলো তো আর ফিরে আসবেনা?
এই কালীপুজোর দুমাস আগে থেকে কয়েকশো বস্তা জবা ফুলের মালা রেডি করে রেখেও খরিদ্দার এর মন জোগাতে পারতাম না। আরে বছর ! দিনাজপুর বাঁকুড়া, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, ঝাড়খন্ড আসানসোলের সমস্ত খরিদ্দার হাতছাড়া হয়েছে। শুধুমাত্র শান্তিপুরের চাহিদা মেটাচ্ছি।