ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ‘রাখি’ বানাচ্ছে কৃষ্ণনগর ঐকতানের কচিকাঁচারা

Social

সোশ্যাল বার্তা : আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাদেই রাখি বন্ধন উৎসব। ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগের সময় সম্প্রীতির বার্তা দিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধনের সূচনা করেছিলেন। তখন থেকেই রাখি বন্ধন উৎসব পালন হয়ে আসছে।

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে রাখি বানিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে রাখি তুলে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করলো নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ১২নং ওয়ার্ডের সীমান্ত পল্লীর কৃষ্ণনগর ঐকতান এর অবৈতনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কঁচি-কাঁচারা।

সামাজিক বার্তাকে সামনে রেখে ফেলে দেওয়া জলের বোতলের মুখ,থার্মোকল তার সাথে রঙিন কাগজ ও পুঁতির সাহায্যে তৈরি হচ্ছে এই রাখি ।

মঙ্গলবার অবৈতনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানেই তারা কাজটি শেখে। এই কর্মশালায় প্রায় ৫০ জন কচিকাঁচা উপস্থিত ছিল ।

কেউবা তৃতীয় শ্রেণী কেউবা পড়ছে পঞ্চম শ্রেণি। কাজটি শেখার পরেই নিজের মনের জোরকে সম্বল করেই হাসিমুখে কাজ করে চলেছে ওঁরা।

রঙিন কাগজ কাটতে কাটতে সায়ন্তিকা ভৌমিক জানায়,কাজটি শিখতে পেরে খুব ভালো রাখছে। আমার আর রাখি কিনতে হবে না।নিজের তৈরি করা রাখি অন্যদের পরাবো।

কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সভাপতি অরিন্দম দেব জানান,বাচ্চারা রাখি বানানো শিখলো। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০টি রাখি তৈরি হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবছরেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে নিজেদের হাতে তৈরি রাখি পরিয়ে দেবে ওরা। ভ্রাতৃত্ববোধ আর সম্প্রীতির উৎসব উদযাপনে সামিল হতে সবাইকে আহ্বান জানাই ।

Leave a Reply