নদীয়ার শান্তিপুরে শিল্পীর সৃষ্ট রবীন্দ্র মূর্তি, ২২ শে শ্রাবণেই ব্রাত্য

Social

মলয় দে নদীয়া :- আলমারি বন্দী রবীন্দ্র রচনাবলী বা তাঁর সৃষ্ট বিভিন্ন উপন্যাস কবিতা গল্প স্বরলিপি নাটকের বিভিন্ন বই এখন অনেক আভিজাত্য পরিবারে রাখা থাকে সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেখাতে। ২৫ শে বৈশাখ হোক বা ২২ শে শ্রাবণ আড়ম্বররতার সাথে পালন এখন উৎসব হলেও, ঘরে ঘরে রবি পুজিত হলেও চিন্তায় চেতনায় আন্তরিকতায় কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

নদীয়ার শান্তিপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শেষ প্রান্ত জয় নিতাইয়ের মোড়ে , শিল্পী সঞ্জয় বিশ্বাস এর বাড়ির সামনে শোভা বর্ধন করে বিরাট আকার রবীন্দ্র মূর্তি। সঞ্জয়বাবু শান্তিপুরে স্থাপিত বেশ কয়েকটি মূর্তির স্রষ্টা। তার পিতা বিদ্যালয় শিক্ষক ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর বাড়ির সামনে একটি কাপড়ের দোকান করেন, সাথে শিল্পকর্ম তো আছেই। বাড়ির শোভাবর্ধন করলেও আজ বাইশে শ্রাবণে রবীন্দ্র মূর্তিটি মালাবিহীন এবং অপরিষ্কার অবস্থায় দেখা গেল বিকাল তিনটেটে পর্যন্ত। আমরা পৌঁছেছিলাম তার মতামতের জন্য, তবে এ নিয়ে বিনিয়ে অজুহাত না দেখিয়ে সরাসরি হাত জোড় করে ক্ষমা চান শিল্পী, তিনি বলেন আগামী দিনে এ ভুল হবে না। সঞ্জয়বাবুর সহজ সরল স্বীকারুক্তিতেই বোঝা গেছে তিনি কতটুকু অনুতপ্ত। আর এই অনুতাপ থাকা মানেই , বোঝা গেল তিনি একজন বড় মনের মানুষ। কবি গুরু কে শ্রদ্ধা জানানোর সাথে সঞ্জয় বাবুদের মতন বেশ কিছু মানুষের অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা কিছু মানুষের চেতনা বৃদ্ধির জন্যই এই সংবাদ পরিবেশন।

Leave a Reply