প্রীতম ভট্টাচার্য্য: কৃষ্ণনগরের সাংস্কৃতিক সংস্থা মুক্তধারার ৪১তম আলোচনাসত্র বসেছিল কৃষ্ণনগর পৌরসভার দ্বিজেন্দ্র মঞ্চে। ৬ই আগস্ট ২০২২ (শনিবার) মুক্তধারা আয়োজিত এই আলোচনাসত্র শুনতে শহর এবং শহরলাগোয়া এলাকার বহু বিশিষ্টজন এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। মুক্তধারার ৪১তম আলোচনাসত্রের বিষয় ছিল ‘এখন সব অলীক — কবি বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় এবং…’।
আলোচক ছিলেন কবি বিজয়লালের আদর্শে গড়া, তাঁরই একান্ত অনুগত শিষ্য রামকৃষ্ণ দে। তিনি নিজেও একজন বিশিষ্ট কবি। প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক কবি রামকৃষ্ণ দে-র গ্রন্থাগারমুখী জীবনের সূত্রপাতও কবি বিজয়লালের হাত ধরেই। সাহিত্যিক সুধীর চক্রবর্তীর অভিভাবকত্বে কয়েকবছর আগে মুক্তধারা তার পথচলা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগরের বুকে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই ধরনের আলোচনাসভার আয়োজন করে মুক্তধারা সুনাম অর্জন করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে সম্পদনারায়ণ ধর এবং দীপাঞ্জন দে বলেন যে, “আমাদের ৪১তম আলোচনাসত্রের শ্রোতাবন্ধুদের প্রতিক্রিয়া শুনে আমাদের খুব ভালো লাগছে। এই শ্রোতা বন্ধুরাই হলেন মুক্তধারার সম্পদ। তাদের থেকেই আমরা এই ধরনের আয়োজনের উৎসাহ পাই।”
মুক্তধারার এবারের আলোচনাসত্রের বক্তা ছিলেন রামকৃষ্ণ দে। তাঁর কাছ থেকে মুক্তধারার শ্রোতাবন্ধুরা কবি বিজয়লাল সম্পর্কে বহু অন্তরঙ্গ কথা, পারিপার্শ্বিক অনেক অজানা ঘটনা এবং প্রসঙ্গক্রমে আলোচনায় চলে আসা আরো কয়েকজন গুণী ব্যক্তির সম্পর্কে শোনার সুযোগ পান। সূচনায় পরিবেশিত হয় কবি বিজয়লালের লেখা চারণদলের গান—
“নতুন করিয়া আমরা ধরায়
রচিব প্রেমের বৃন্দাবন।
সবার উপরে মানুষ সত্য
গাহিব আমরা চারণগণ।” এই চারণদলের গান পরিবেশনায় ছিলেন বিজয়লালেরই স্নেহধন্য প্রতিষ্ঠান শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠাগারের বন্ধুরা। আর সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মুক্তধারার অন্যতম আহ্বায়ক তপনকুমার ভট্টাচার্য। কবি বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর সূচনাকালে মুক্তধারার এই আয়োজন যে বিশেষ তাৎপর্যবাহী, সে কথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই।