রায়গঞ্জঃ প্রথমে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল ৮ জুলাই। সেদিনই চাল, আলু, বাংলার শিক্ষা পোর্টালের অ্যাক্টিভিটি টাস্কের সঙ্গে স্যানিটাইজার দেওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু ৭ জুলাই নির্দেশ পৌঁছায় যে জেলা থেকে স্যানিটাইজার আসতে দেরি হবে। তাই দিন ধার্য হয় ১০ জুলাই। কিন্তু সেই তারিখের আগেও জেলা প্রশাসন থেকে বিডিও অফিসে স্যানিটাইজার পৌঁছাতে পারেনি। তাই ১০ তারিখে এই সমস্ত স্কুলগুলোতে স্যানিটাইজার ছাড়াই চাল, আলু বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। অভিভাবকদের বোঝাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের। এছাড়াও আগে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আলু কিনে রাখা হয়েছিল বলে সেই আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আলু কিনতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক নাসরিন পারভেজ বলেন, ‘রায়গঞ্জ ব্লকের চারটে সার্কেলের মধ্যে বাকি তিন সার্কেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্যানিটাইজার পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সদর সার্কেলের গ্রামাঞ্চলের স্কুলে বিডিও অফিস থেকে স্যানিটাইজার পৌছায় নি। তাই আপাতত সেটা ছাড়াই বিতরণ চলছে। পরবর্তীতে স্যানিটাইজার এলে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করে বিতরণ করা হবে।’ হাই ও প্রাথমিক মিলিয়ে মোট ৭১ টি স্কুলের মধ্যে ৪৮টি স্কুল স্যানিটাইজার পেয়েছে, ২৩ টি স্কুল পায়নি বলে জানান তিনি। শুক্রবার বিদ্যালয়ে বিতরণ কর্মসূচি কেমন চলছে তা দেখার জন্য পরিদর্শনে বের হয়েছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রাথমিক দীপক কুমার ভক্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ১৫ তারিখ পর্যন্ত চাল, আলু বিতরন চলবে স্কুলগুলি থেকে।