মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুরে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে গতকাল লাল হলুদ সমর্থকরা জড়ো হয়েছিল একত্রে ইস্টবেঙ্গল এর জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে। বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পূরণের মাঝেই লড়াই চালিয়ে যান মাঠে তবে মাঠের বাইরে মোহনবাগানীদের সঙ্গে তাদের হৃদরতা অক্ষুন্ন রয়েছে বলেই দাবি করেন।
উদ্যোক্তারা জানান “ইস্টবেঙ্গল, শুধু একটি নাম না বীজমন্ত্র। লাল হলুদ দুটো রঙ শুধু না কোটি কোটি মানুষের জীবনের রামধনু। মশাল শুধু একটি প্রতীক নয় একটি জাতির বুকের আগুন যা তাদের রোজকার ছোট থেকে বড় সব লড়াইয়ের রসদ জোগায় । এমনই মনে করেন ইস্ট বেঙ্গলিয়ানরা। তারা মেনে চলেন ,এই জীবনের লেখচিত্র সবসময় সমান্তরাল ভাবে চলে না ,তাতে থাকে বহু চড়াই উৎরাই। এই একশো বছরের বেশী পথ কুসুম ছড়ানো ছিল না বরং প্রতিটা বাঁকে ছিল শক্ত বাধা। আজকের এই সাফল্য পেতে গিয়ে মুখোমুখি হতে হয়েছেন অনির্বচনীয় বঞ্চনা এবং নির্লজ্জ আচরণের । কিন্তু নিজেদের জেদ,নাছোড়বান্দা মনোভাব, সংগ্রাম আর মরণপন লড়াইয়ের ওপর ভিত্তি করে জয় করেছে প্রতিটা সংগ্রাম। আজ ও শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারত নয় গোটা বিশ্বের কোনায় কোনায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে লাল হলুদ পতাকা। স্পর্ধা আর আত্মসম্মানের প্রতীক হিসাবে। শুভ মাহেন্দ্রক্ষণে সকলের প্রিয়তম ক্লাব পদার্পণ করেছে একশো তিনতম বর্ষে। বহু ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে যুগোত্তীর্ণ, কালত্তীর্ণ এই অমোঘ মন্ত্রের শুভ জন্মতিথিতে আবার তাদের শপথ নেওয়ার পালা। সেই পূর্বপুরুষদের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মাঠ এবং মাঠের বাইরে অনমনীয় সংগ্রাম, ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে বিদেশের মাটিতে দুরন্ত পারফরমেন্স, রাশিয়ার শুন্য ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রাতে ঠিকঠাক শীত পোশাক ছাড়া ডায়নামো কিয়েভের বিরুদ্ধে অনবদ্য ফুটবল, চীনের অলিম্পিক দলকে হারানো বা ইরানের পাস ক্লাবকে হারিয়ে শীল্ড জয় থেকে আল জাওড়া কে ছয় গোলে ওড়ানো, কাওয়াসাকি ভেরুদির বিরুদ্ধে অনবদ্য জয় বা আশিয়ান সহ তিন তিনবার বিদেশের মাটিতে ভারতের বিজয়কেতন ওড়ানো থেকে এ এফ সির সেমিফাইনাল নিয়ে যে সাফল্যের বিরাট সাম্রাজ্য আছে তাকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব বর্তমান প্রজন্মের কাঁধে।
এই শুভদিনে ইস্টবেঙ্গলের সাথে যুক্ত সকল সভ্য, সদস্য, সমর্থক, খেলোয়াড় এবং অন্যান্যদের শপথ নিতে হবে যে বিগত বছরের সাময়িক ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে সবাই নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বে কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে। যুবভারতী সহ ভারতের সব স্টেডিয়ামে জয়ধ্বনি উঠবে ই-স্ট-বে-ঙ্গ-ল এই নামটার। বিপক্ষের বুকে হৃদকম্পন হবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে এই লাল হলুদ এই রঙ দুটো দেখলে “।
শুভ জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা ভালোবাসার সাথে সর্বত্র পালন করা হয় এই দিবস।