মলয় দে নদীয়া :-ডক্টর বিধান চন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত ধুবুলিয়া টিবি হাসপাতাল কে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে, ধুবুলিয়া থেকে কৃষ্ণনগর পায়ে হেঁটে মিছিল করে ডেপুটেশন দিল এলাকাবাসী।
ডক্টর বিধান চন্দ্র রায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সারা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাসহ কল্যাণী সহ সমগ্র নদীয়ায় চিকিৎসার বিপ্লব এনেছিলেন। ১৯৬৪ সালে তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিলো টিবি হাসপাতাল। আনুমানিক ৯৫০ বিঘা জমিতে, গড়ে ওঠা এই হাসপাতালে রাজ্য নয় রাজ্যের বাইরে থেকেও চিকিৎসায় আসতেন অনেকেই। পরবর্তীতে এত বিরাটাকার হাসপাতালের জায়গা থাকার কারণে স্বাস্থ্য নগরী গড়ে তোলার নানান পরিকল্পনা শোনা গেলেও, বাস্তবে অবহেলায় কঙ্কাল সার চেহারা ফুটে উঠেছে এই হাসপাতালের। টিবি চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসার জন্য আলাদা বন্দোবস্ত দাবী জানালেও, এলাকাবাসীরা কোনো সদুত্তর পাননি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। এলাকাবাসীদের চিকিৎসা এবং বেকার ছেলেদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় তারা গড়ে তুলেছেন ডক্টর বিধান চন্দ্র প্রতিষ্ঠান বাঁচাও মঞ্চ।
নাগরিকদের গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই পায়ে হেঁটে আজ ধুবুলিয়া থেকে কৃষ্ণনগর কালেক্টারিতে এসে পৌঁছান সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন এবং গণস্বাক্ষর জমা দেওয়ার সাথেই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কাছেও প্রতিলিপি পাঠান তারা। হাসপাতাল পুনরুদ্ধারের তাগিদে ধুবুলিয়ার গৃহবধূ মিনা বিশ্বাস এবং পলি ব্যানার্জি দের মতো অনেকেই পায়ে হেঁটে এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, আন্তরিক সহযোগিতায় গর্বের অতীত আবারো ফেরাতে চাই। ডক্টর বিধান চন্দ্র প্রতিষ্ঠান বাঁচাও মঞ্চের সদস্য মানবেন্দ্র বোস বলেন, যে মহামানবের প্রচেষ্টায় সে সময় নানান প্রতিকূলতার মধ্যে এত বড় স্বাস্থ্যপরিষেবা চালু হয়েছিল আজ শুধুমাত্র হেলায় হারাতে দেব না এর জন্য আগামীতে গন আন্দোলন গড়ে তুলবো। এত স্থাবর সম্পত্তি ফেলে না রেখে স্বাস্থ্য উপনগরী তৈরীর দাবি জানাচ্ছি আমরা।