কৃষ্ণনগরে পালিত হলো কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মদিন ,উপস্থিত রেলের ডিভিশনাল আধিকারিক

Social

সোশ্যাল বার্তা : নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে “কৃষ্ণনগর ঐকতান” নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে পালিত হলো কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মদিন। বাংলা ১২৭০ সালের ৪ঠা শ্রাবণ জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণনগরের এই সুযোগ্য সন্তান ।

কৃষ্ণনগরের স্টেশন অ্যাপ্রোচ রোডে রয়েছে কবির জন্মভিঁটে। সেখানে এখনও রয়েছে দুটি তোরণ। বর্তমানে জায়গাটি রেলের অধীন।

৪ঠা শ্রাবণে কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণনগর ঐকতান সদস্যরা সকাল থেকে উৎসবে মেতে ওঠে। সকাল বেলায় কবির জন্ম ভিঁটেয় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা রঙিন কাগজ,ফুলের মালা,আলপনা দিয়ে সাজিয়ে তোলে।

সেখানে মাল্যদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার পর সংস্থার সদস্যরা কৃষ্ণনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন দ্বিজেন্দ্রলাল রায় পার্কে কবির মূর্তিতে ও কৃষ্ণনগর রেলওয়ে স্টেশনে কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। এছাড়াও কৃষ্ণনগর ঐকতান এর অবৈতনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়।মাল্যদান করেন রেলের ডিভিশনাল আধিকারিক।

কবির জন্ম ভিঁটেয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা মাল্যদান করেন।

কৃষ্ণনগর রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রেলের ডিভিশনাল আধিকারিক এবং কৃষ্ণনগরে স্টেশন ম্যানেজার ও আরপিএফের ইন্সপেক্টর, রেলওয়ে পুলিশের আধিকারিক সহ অন্যান্যরা ।

বিকেলেবেলা সংস্থাটির অবৈতনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেখানে ছেলে-মেয়েরা নাচ,গান,নৃত্য পরিবেশন করে।

কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সভাপতি অরিন্দম দেব জানান “কবির জন্ম ভিঁটেয় শুধুমাত্র দুটি তোরণ রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে আমরা ওখানে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছি। একসময় ভগ্নপ্রায় প্রাচীর ছিল তা নিজেরাই ইঁট বালি সিমেন্ট দিয়ে সারাই করেছি। মাঝে মধ্যে এলাকাটি নিজেরাই আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকি। আমাদের সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান এর পক্ষ থেকে রেলের কাছে চিঠি দিয়ে জায়গাটি সংস্কার করার আবেদন জানানো হয়েছে। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে রেলের ডিভিশনাল অফিসের আধিকারিক আজ এসেছিলেন বিষয়টি দেখতে। আশা করি রেলের সহযোগীতায় জায়গাটি সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে”।

Leave a Reply