১৮ দিনের শিশুর শ্রমিক পিতা ভিন রাজ্যে , গৃহ সংস্কার ও খাদ্য জোগানে বগুলার নেতাজি ইয়ূথ ফোর্সের সদস্যরা

Social

সোশ্যাল বার্তা : করনো সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশজুড়ে চলছে লক ডাউন। লক ডাউনের শুরু থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে নদীয়া জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বগুলার নেতাজি ইয়ূথ ফোর্সের সদস্যরা । দলের বেশির ভাগ সদস্যবৃন্দ ছাত্র-ছাত্রী । সারা বছর ধরে চলে তাদের কর্মসূচি কখনো হাসপাতাল পরিষ্কার, গাছ লাগানো কখনও বা সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর প্রচার ।

করোনা আবহে তারা যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন কাজের সঙ্গে । বতর্মানে যাদের অবস্থা খুবই খারাপ তাদের কাছে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে এই সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ।

কিছুদিন আগেই প্রান্তিকদের খাবার দিতে গিয়ে দেখেন রেল লাইন এর ধারে এমন কিছু মানুষ বাস করেন, যাদের মাথার উপর আচ্ছাদন আছে কোন রকমে ।কিন্তু  চলতি মরসুমের বৈশাখ মাসে ঝড় জলের দাপটে আশ্রয়স্থলটিও ভগ্নপ্রায়। একেতেই করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে কর্মহীন হয়ে খাবারের অনিশ্চয়তা, তার উপর গৃহবন্দী থাকার সরকারি নির্দেশ অথচ গৃহই যেখানে নেই সেখানে বন্দী কিভাবে? ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিহাস ! রেলের পাড়াটির নাম বগুলা কুঠি পাড়া। নেতাজির আদর্শে চলা নেতাজি ইয়ূথ ফোর্সের আন্তরিকতায় গত ৪ দিন আগে তৈরি হয়েছিল এক বৃদ্ধার মানবিক ঘর।

এই রকমই আরেকটি পরিবারের কথা শুনলে সিউড়ে উঠবে গা! লক ডাউনের ভেতর জন্ম নেওয়া সদ্যজাত শিশুও নিরাপদ নন অন্ন বস্ত্র বাসস্থান স্বাস্থ্য কোন কিছুতেই।

মাত্র ১৮ দিনের শিশু নিয়ে পরিবার বাস করছেন রেলের পাড়ে জরাজীর্ণ গৃহে। ঘরটির চারিদিকে কাপড় দিয়ে শুধুমাত্র ঘেরা । রেল লাইনের ধারে তাই হয়ত ঘর পায়নি তারা । পরিবারের প্রধান ১৬ দিনের শিশুর বাবা শ্রমিকের কাজ করেন বতর্মানে লক ডাউনের কারনে বাইরে আটকে আছেন ভিন রাজ্যে। সংগঠনের সদস্যরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গতকাল বানিয়ে দিলেন মানবিকতার ঘর।

সংগঠনের অন্যতম সভাপতি তনময় রায় বলেন ” সারা বছর ধরেই চলে আমাদের সেবা ও সাংস্কৃতিক কাজকর্ম । বাড়িতে খাবার দিতে গিয়ে বৃষ্টির মধ্যে আটকে পড়লাম বৃষ্টির জলে ভিজে গেলাম । সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এরকম চারটি ঘর আমরা তৈরি করছি । সবার কাছে আবেদন আপনারা এগিয়ে আসুন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান” ।

Leave a Reply