মলয় দে নদীয়া : নদীয়ার শান্তিপুর শহরের পটেশ্বরী স্ট্রিটের বিখ্যাত বিশ্বম্ভর মঠের বাড়ির উঠোনে গরু রাখার জন্য চাতাল করা বেশিরভাগ অংশটুকুই! সামান্য একটু অংশ মাটি আর তাতেই কয়েকটি কলাগাছ পূর্বপুরুষ থেকে চলে আসছে জন্ম-মৃত্যু! তবে বাকি অংশে সিমেন্টের ঢালাই থাকার কারণে, পরিবার পরিকল্পনা নজর কাড়ে,অর্থাৎ নতুন কলাগাছ জন্মে বছরে একটা কি দুটো, অনেকটা “হামদো হামারো দো” র মতোন ফ্যামিলি প্ল্যানিং!
ওই পরিবারের গোপাল এবং গোবিন্দ মঠ জানান ছোটবেলা থেকে ওই সিঙ্গাপুরি জাতের কলা গাছ গুলো দেখে আসছেন তারা! মোচা হয়! কলা পাকে পুজোয় দেওয়ার পর খাওয়া হয়। গত তিন মাস আগে শেষবারের জন্য একটি কলার কাঁদি কেটেছিলেন তারা। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ লক্ষ্য করা গেছে, ক্রমাগতই কলাগাছের পেটের অংশটি ফুলছে, কলা গাছের ডগা অংশ দিয়ে মোচা না বেরিয়ে, হঠাৎই আজ সকালে পেট ফেটে গেল আস্ত কলার ছড়া, মোচা বলতে কিছুই নেই। ঘটনা কানাঘুষো হতে অনেকে উৎসাহীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়! বহু প্রাচীন রাধাকৃষ্ণের সেবাইত হিসেবে মঠবাড়ির সুখ্যাতি শান্তিপুরের প্রায় সকল কৃষ্ণ ভক্তেরেই জানা। তাদের অনেকের মতে, মঠ বাড়ির সুখ্যাতি ফলেই এ বিরল ঘটনা।
যদিও যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক দের কাছে এটি শারীরিক বিচ্যুতি! তবে সে যাই হোক, কলা পাকিয়ে তা রাধা কৃষ্ণর সেবাতেই লাগাবেন পরিবার। আর প্রসাদ হিসেবে, পাবেন প্রত্যেক ভক্তবৃন্দই, এমনটাই জানালেন পরিবারের সদস্যরা।