সোশ্যাল বার্তা: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে সংকেত এবং ছাত্র সংঘ পরিচালিত দূর্গাপুজোর এই বৎসর পঞ্চাশ বছরে পড়ল। এদিন এক বিরল কর্মসূচির মাধ্যমে পুজোর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের সূচনা করলো আয়োজক সংস্থা।
রাজ্যের বারোটি জেলার প্রায় ১৬৭ জন মানুষ। যারা বিভিন্ন পথ দূর্ঘটনায় দূর্ভাগ্যবশত হাত বা পা’য়ের মত অঙ্গ হারিয়েছেন চিরতরে, তাদের জন্য সম্পূর্ণ বিনাব্যয়ে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হল।
প্রচারসূচী অনুযায়ী আগে যোগাযোগের ভিত্তিতে এদিন কোলাঘাটে জমায়েত হয়েছিলেন দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বর্ধমান, দুই পরগনা, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়া, মূর্শিদাবাদ ইত্যাদি জেলা থেকে প্রায় ১৭৭ জন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। এদিন বিশেষজ্ঞ দ্বারা এইসব অঙ্গহানিদের মেজারমেন্ট নেওয়া হয়। উপযুক্ত নির্বাচিত হয়েছেন ১৬৭ জন।
আয়োজকদের পক্ষে সন্তু হাজরা বলেন,
আগষ্টের ৩ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত একটি বড়মাপের কর্মশালা চলবে। যেখানে কোলকাতা এবং ভিন রাজ্যের দক্ষ কারিগরা কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করবেন। বিনাব্যয়ের এই শিবিরে দূরদূরান্তের আগত সবার জন্যই সাধ্যমত থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।।
তারকেশ্বরে বাড়ি যুবক প্রশান্ত দুলে। মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় একটি পা হারিয়েছেন। অ্যাম্বুলেন্সে ভোর রাতেই পৌ়ছে গেছেন এই ক্যাম্পে।
ঝাড়গ্রামের সেবায়তন থেকে বাস দূর্ঘটনায় কিশোর মহেশ টুডু, ট্রাক ও মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় দুই পা হারানো খড়্গপুরের যুবক প্রশান্ত মন্ডল, চন্দ্রকোনার বাসিন্দা বাস চালক বাস দূর্ঘটনায় ডান পা হারানো সমর দাসের মত বহু দূর দূর থেকে মানুষজন এই ক্যাম্পে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে হাজির হয়ে ছিলেন। সুন্দরবনের কুমিরমারির মত দূর্গম এলাকা থেকে এসেছিলেন গ্রামের রাস্তার দূর্ঘটনায় বাঁ পা হারানো যুবতী কল্পনা মন্ডল।
সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের পূজো কমিটির পক্ষে সম্পাদক শ্যামল আদক জানান , – প্রতিদিন প্রতিনিয়ত একটু অসাবধানতায়, অসচেতনতায় পথদূর্ঘটনায় বহু মানুষ জখম হচ্ছেন মারা যাচ্ছেন। মূলত পথনিরাপত্তায় সচেতনতনা গড়ে তুলতে আমাদের এই উদ্যোগ।
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে পথসভা, কুইজ, অঙ্কন, প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মসূচিও গ্রহন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমেই এবারে আমাদের পঞ্চাশতম বর্ষ শারদোৎসবের খুঁটি পুজো হল বলা যায়।
আমরা এই ধরনের আরো বহু জনহিতকর কাজের পরিকল্পনা করেছি।সমগ্রসূচিতে সহযোগিতা করছেন কোলকাতার সতী চ্যারেটিবল ট্রাস্টের পক্ষে বনোয়ারিলাল শর্মা।