মলয় দে নদীয়া :- রাত পোহালেই রথ, দু’বছর করনা পরিস্থিতি কাটানোর পর ভক্তবৃন্দ দের স্বতঃস্ফূর্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে রথের আগে থেকেই।
নবদ্বীপ হাওড়া এবং শিয়ালদহ কৃষ্ণনগর চার জোড়া ট্রেন শান্তিপুর হুগলির জল পরিবহনের দুটি লঞ্চ এবারে নদিয়ায় রথযাত্রায় বহিরাগত জেলা থেকে দর্শনার্থী আসার পথ সুপ্রশস্ত করেছে। সেই কারণে ধর্মপ্রাণ নদীয়ার বিভিন্ন মঠ মন্দির সেজে উঠছে। শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান নবদ্বীপের বিভিন্ন মন্দিরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে, আগামীকালের রথযাত্রা উপলক্ষে। হবিবপুরের ইসকন মন্দিরেও সাত দিনের জন্য দরজা বন্ধ জগন্নাথ দেব আগামীকাল সুস্থ হয়ে উঠবেন, দেখা দেবেন ভক্তবৃন্দদের। রথে চেপে যাবেন রানাঘাট সম্প্রীতির মাঠে মন্দিরে। থাকবেন সাত দিন, নানান কর্মসূচি লেগেই থাকছে সর্বক্ষণ। এই মন্দিরে, এক দিকে যেমন চলছে জগন্নাথ দেবের 56 ভোরের ভোগের আয়োজন, অন্যদিকে অনুমানকৃত ১০ হাজার ভক্তের মধ্যাহ্নের প্রসাদের। রথযাত্রার সাথে শোভাযাত্রার আকারে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে ঢোল খোল বাজানোর চূড়ান্ত অনুশীলন চলছে। সাত দিনে সাতটি নতুন বস্ত্র পরিধান করবেন জগন্নাথ দেব আর তারই প্রস্তুতি চলছে, মন্দিরের সেলাই বিভাগে। কয়েক লক্ষ টাকার বিভিন্ন ধরনের ফুলের আয়োজন করা হয়েছে রথ এবং গোটা মন্দির সাজিয়ে তোলার জন্য। রথযাত্রার বিভিন্ন ট্যাবলো, জগন্নাথ দেবের সাজসজ্জা প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।