মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি স্কুলগুলির ভর্তির নির্ধারিত অর্থের বেশি না নেওয়ার জন্য বিশেষ নজর বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্যের

Social

মলয় দে নদীয়া;-শান্তিপুর বিধানসভার অন্তর্গত ২৮ টি জুনিয়র বেসিক এবং হাইস্কুলের মধ্যে অনেক বিদ্যালয়গুলিতে  ভর্তির সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে ২৪০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও বেশি নেওয়া হচ্ছিলো । স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা কে মৌখিকভাবে জানিয়েও ফলাফল না হওয়ায় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের শরণাপন্ন হোন বেশকিছু অভিভাবক অভিভাবিকাগণ। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ৫০০-৬০০ এমনকি ৭০০ টাকা পর্যন্ত কিছু কিছু বিদ্যালয় নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বেশ কিছু বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করে পরামর্শ দেন, সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফির বেশি না নেওয়ার জন্য। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের বিদ্যালয় রক্ষণাবেক্ষণ, স্মার্ট ক্লাস, আংশিক শিক্ষক নিয়োগ, বিভিন্ন অনুষ্ঠান সেমিনার সহ নানা বিধ খরচে জর্জরিত নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন বিধায়কের সামনে। বিধায়ক এ প্রসঙ্গে জানান,এর আগেও প্রতিটি বিদ্যালয়কে বিধায়ক তহবিল ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক বন্দোবস্ত করিয়ে দিয়েছেন। আগামীতেও এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে তিনি প্রস্তুত, তবে কোনোভাবেই ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ভর্তির বিলের সাথে যোগ করে বাধ্যতামূলক করা যাবে না। স্মার্ট ক্লাস বা বিভিন্ন বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পেতে চাইলে অভিভাবকণের আগ্রহ এবং সামর্থের উপর স্বেচ্ছায় দিতেই পারেন, তবে তা কোনো ভর্তির সাথে নয়। এবারেও তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিকে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় ঘটাতে বলেছেন। তাতে শুধু অর্থনৈতিক নয়, একদিকে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান হয় অন্যদিকে তাদের প্রতিও স্কুল কর্তৃপক্ষর আন্তরিকতা প্রকাশ পায়।” বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওতে ক্লিক করুন :–

আজ বিকালে বিধায়ক মনোনীত 28 টি বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি দের নিয়ে একটি মিটিংয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রাক্তন সাংসদ ডঃ তাপস কুমার মন্ডল এর সাংসদ কোটার বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে প্রতিটা বিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের মেশিন বসানো নিয়ে রাজনৈতিক জল ঘোলার ফলে বঞ্চিত থেকে যায় বেশকিছু বিদ্যালয়।

Leave a Reply