মলয় দে নদীয়া:-সারাবছর বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ধর্মীয়, প্রশাসনিক নানা ভাবে জনসাধারণের মনোরঞ্জন করেন যাঁরা, তাদেরই অনুপ্রেরণা দানের জন্য শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনীর তিন বছর যাবত জেলাব্যাপী এই ক্লাবের প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যবস্থা করে আসছে। ১৯৭৭ সাল থেকে শান্তিপুর পুনর্মিলনীর পথ চলা শুরু, নিয়মিত জেলাব্যাপী সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, চক্ষু অপারেশন শিবির, মেডিকেল ক্যাম্প, আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের বেদী স্থাপন, ১৫ই আগস্ট ফুটবল প্রদর্শনী, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার সহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতি বছর নিয়মিত সক্রিয়তা সঙ্গে যুক্ত থাকে।
সম্পাদক রুপায়ন চৌধুরী জানান, “১৯৭৭ সালে যখন যুবক ছিলাম তখন থেকেই এ ধরনের উদ্যোগ বয়স এবং শরীরের সাথে সামঞ্জস্য ছিল, পরবর্তীকালে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গিয়ে আজ পর্যন্ত কখনো বয়স বা শারীরিক অসুবিধা প্রশ্রয় পায়নি মনের কাছে।” আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় কে উপেক্ষা করেও শান্তিপুর লাইব্রেরী মাঠে অভিনব ভিন্নধর্মী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির সাক্ষী থাকতে হাজির হয়েছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরোত্তম হালদার, সর্বেশ্বর মুখার্জি , সূর্য দত্ত। পতাকা উত্তোলন করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অমর আচার্য্য, উদ্বোধনী নৃত্য অনুষ্ঠিত হয় সোনার তরী ডান্স একাডেমির সদস্যদের দ্বারা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নটি ক্লাব ব্যান্ড এর মধ্যে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা, প্রতিবছরই দিনের বেলা অনুষ্ঠিত হলেও, প্রত্যেকেই অত্যন্ত দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী এই পেশার সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদেরঅনুরোধ অনুযায়ী এ বছর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। বেশভূষা, দলগতভাবে লংমার্চ, বাদ্যযন্ত্রের গুণগতমান, শিষ্টাচার এ ধরনের বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েই প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় নির্বাচিত করা হয়।