নদীয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রক্তদান শিবিরে ১৬৩ জনের রক্তদান

Social

সোশ্যাল বার্তা : প্রচন্ড গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। মাঝেমধ্যে অবশ্য কালবৈশাখীর দেখা মিলছে। রাজ্যের বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে চাহিদা অনুযায়ী রক্ত থাকছে না। বিশেষ করে যারা থ্যালাসেমিয়া রোগী তারাও নিয়মিত রক্ত পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি থানায় ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে রাজ্যে জুড়ে সাধারণ মানুষের জন্য সারাবছর রক্ত নিয়ে কাজ করে চলেছে ইমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল ২৯শে মে রবিবার নদীয়া জেলার পলাশীর কালীগঞ্জ এলাকার ঘাসুরিয়াডাঙ্গা গ্রামে সংস্থাটির সহযোগীতায় ও গ্রামের মানুষের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরে আয়োজন করা হয়। বাতানুকূল ভ্রাম্যমাণ বাসে রক্তদান শিবিরে ১৬৩ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।রক্ত সংগ্রহ করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক।

উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির,করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়, কালীগঞ্জ থানার ওসি সৌরভ কুমার চ্যাটার্জি সহ অন্যান্যরা।

সাধারণ মানুষের মধ্যে রক্তদানের বার্তা পৌঁছে দিতে পাঁচ কিলোমিটার মোটরসাইকেল রেলির আয়োজন করে সংস্থার সদস্যরা।

একমাত্র রাজনৈতিক দলের ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প ছাড়া বেশিরভাগ ক্যাম্পে লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ১০০ ছুঁতে পারেনা কিন্তু এই শিবিরে নারী পুরুষ মিলিয়ে এতজন রক্তদান করলেন এই সফলতার কারণ কি ?

এই প্রসঙ্গে এমার্জেন্সি ব্লাড গ্রুপ সার্ভিসের মকবুল, মতিনরা জানান ” এলাকায় রক্তদান শিবির হবে সেই জন্য আগে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা হয় তারপরে গ্রামে একটি মিটিংও করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৩৫টি সংগঠন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগদান করে। গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততাই সাফল্যের মূল কারণ। সাধারণ মানুষের জন্য এমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিসের সদস্যরা সর্বদা বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং দেবেন”।

Leave a Reply