মলয় দে নদীয়া:- ভোরের আলো ফুটতেই একদিকে ঈদের নামাজ যেমন চলল বৃষ্টির মধ্যে তেমনই অক্ষয় তৃতীয়ার লক্ষ্মী গণেশ পুজোও। সন্তানকে এবং লক্ষ্মী গণেশ কে একসাথে আঁচল দিয়ে ঢেকে মায়েরা পুজো দিতে আসছেন। কেউ গণেশ প্রতিমা কে মুড়িয়েছেন প্লাস্টিকে। কেউবা নিজে ভিজলেও ঠাকুরের মাথায় ছাতা দিয়েই উঠছেন টোটো তে । এভাবেই শান্তিপুর সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়ার নানা চিত্র ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়।
অক্ষয় তৃতীয়া, এই দিনটির কথা শুনলেই বাঙালির কাছে মনে হয় দোকানে দোকানে হালখাতা, খাওয়া দাওয়া।
কিন্তু এই দিনটির আরও অনেক গুরুত্ব, তাৎপর্যও রয়েছে, । আর এই অক্ষয় তৃতীয়া নামটির মানে বা অর্থ এটা হয়তো আমরা অনেকে জানি আবার অনেকেই জানি না।এই নামের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। সংস্কৃতি ভাষায় অর্থ প্রত্যাশা আবার কোথাও অবিস্মরণীয় বা চিরস্থায়ী।
আবার অনেকের বিশ্বাস এই বিশেষ দিনে কোন শুভ কাজ সম্পন্ন করলে তা অনন্ত কাল অক্ষয় থাকে।তবে এই দিনটির কি কি তাৎপর্য আছে চলুন সেটা জানি।
জগৎ ক্ষ্যাতি পুরীধামের রথ যাত্রা র রথের নির্মাণ কার্য শুরু হয় এই বিশেষ দিন থেকেই।
শাস্ত্র মতে এই দিনেই সত্য যুগের সমাপ্তি হয়ে ত্রেতা যুগের সূচনা হয়েছিল।
পাশাপাশি এও জানা যায় এই দিন থেকেই বেদব্যাস মহাভারত রচনা শুরু করেছিলেন।
আবার এই দিনেই জন্ম নিয়েছিল ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম।বহু মানুষ আবার এই দিনটিতে সোনা বারূপোর গহনা কেনেন এই গহনা বা সোনা রূপোর সামগ্রী কেনার পিছনেও একাধিক লোক কথা প্রচলিত আছে, কেও কেও মনে করেন গহনা বা রত্ন এই শুভ দিনে ঘরে আনলে সংসারে সুখ শান্তি বিরাজ করে, সমৃদ্ধি লাভ হয়।
আবার একথাও জানা যায় এই বিশেষ শুভ দিনে কুবেরের তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেব তাকে ধন ঐশ্বর্য দান করেছিলেন, যা কুবেরের লক্ষী লাভ বলেও লোকমুখে প্রচলিত।যার কারনে কেউ কেউ আবার এই দিন বৈভব- লক্ষীদেবির পূজাও করে থাকেন।
সময়ে বিবর্তনের ফলে এই বিশেষ দিনে বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে দেখা যায় মানুষের ভির,বহু দোকানে বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লক্ষী গণেশ পূজা করে হাল খাতাও করা হয়।