মলয় দে নদীয়া:- আজ মে দিবস। শ্রমজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই কে শ্রদ্ধা জানানোর দিন।সমাজের একাংশের বাঁকা চাহনি সমালোচনা থাকলেও, বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে জীবন ধারণের তাগিদে যৌনকর্মী হিসেবে দেহ ব্যবসার পথ বেছে নিতে হয় অনেককেই। শারীরিক উত্তেজনার কারণে সমাজে যৌন লাঞ্ছনা শ্লীলতাহানীর মত নানান ব্যভিচার ঘটে থাকে। কিছু মনস্তাত্ত্বিকবিদদের মতে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন যৌনকর্মীরা। দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সারাবাংলায় 65 হাজার যৌনকর্মীদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছিলো। তার মধ্যেই করোনা মহামারী রুখতে রোগ সংক্রমণের কথা ভেবে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন তারা। মাঝে মধ্যে সামান্য কিছু সরকারি সহযোগিতা পেলেও পুলিশি এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অত্যাচারের শিকার হন তারা।
কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রাফিকিং ইন পার্সনস( প্রিভেনশন কেয়ার এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন) বিলের কারণে বিপদের মুখে পড়তে পারে যৌনপেশা, কারণ এই বিলটি আইনে পরিণত হলে অপরাধের তালিকার মধ্যে ঢুকে যাবে যৌনপেশা । যার ফলে তাদের উপর নির্যাতন আরও বাড়তে পারে। আর এরই প্রতিবাদে মে দিবসের প্রাক্কালে গতকাল সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতায় একটি মশাল মিছিলে শামিল হয়েছিলেন তারা। তারা দাবি করেছেন, যৌন পেষাকে শ্রম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে 45 বছরের উর্ধ্বে যৌনকর্মীদের সরকারি পেনশন এর অন্তর্ভুক্ত করা। যদিও দুর্বার মহিলা সমিতির উদ্যোগে সচিত্র পরিচয় পত্র এবং রেশন কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। নদীয়ার শান্তিপুর যৌনপল্লীতে দুই শতাধিক যৌনকর্মী কলকাতার সোনাগাছি দূর্বার মহিলা সমিতির নির্দেশে বিক্ষোভ পালন করেন। 45 বছরের কম বয়সীরা একদিনের প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেন।