সোশ্যাল বার্তা : প্রচন্ড গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গরমে গুড়েরজল ও বাতাসা নিয়ে পথের পাশে স্টল খুলেছে পুলিশ।
ঘটনাটি হাওড়া সিটি পুলিশের অন্তর্গত সাঁতরাগাছি থানার বাঁকসারা রোডে। গুড়জল ও বাতাসা দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। মঙ্গলবার নিজেে হাতে সাধারণ পথচলতি মানুষের হাতে গুড়জল ও বাতাসা তুলে দিতে দেখা গেল সাঁতরাগাছি থানার আইসি ইন্সপেক্টর মৃণাল সিনহাকে।
পথচলতি সাধারণ মানুষ জানালেন, গরমে পিপাসা মেটাচ্ছেন। খাবারের থেকেও এই মুহূর্তে এটি অমূল্য । তবে এলাকায় পুলিশের উদ্যোগ আগে এমন কাজ হয়েছে কিনা মনে করতে পারছেন না।
জানা যায় , কিছুদিন আগেই সাঁতরাগাছি থানায় আইসি হয়ে এসেছেন মৃণাল সিনহা। বাড়ি নদীয়ার বহিরগাছি। ছোট বেলা থেকেই ডাকাবুকো আর দয়ালু। এলাকার লোক তাকে কালু নামেই চেনেন।
জানা যায়, এর আগে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর, ভগবানগোলা, বেলডাঙ্গা, নওদা সহ বিভিন্ন থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশাসনিক দিক দিয়ে তাঁর দক্ষতার কথা ও সাধারণ মানুষের সাহায্যের কথা বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকাতেও প্রকাশ পেয়েছে। কোথাও চালু করেছেন বইমেলা কোথাও আবার ফুটবল টুর্নামেন্ট। মুর্শিদাবাদের অনেক যুবকের কাছে তিনি একজন আইকন। জনসংযোগ কিভাবে করতে হয় তা তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি ক্যানসার রোগীর ওষুধ, বাড়ি পুড়ে যাওয়া মানুষের ঘর বানিয়ে দেওয়া, পড়তে না পারা ছাত্রছাত্রীর পড়াশুনার দায়িত্ব করোনার সময় সাধারণ মানুষের জন্য দুহাত বাড়িয়ে দিয়ে সহযোগীতা করেছেন।
কয়েকদিন আগে জানতে পারেন ওনার এলাকায় একজন অসহায় মানুষ অর্থের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন না। একটি হুইল চেয়ার এরও প্রয়োজন রয়েছে । নিজে পৌঁছে যান ওই পরিবারের কাছে। শুধুমাত্র ওষুধ নয়, প্রয়োজনীয় হুইল চেয়ার ও নিজের সাধ্যমত কিছু আর্থিক সহযোগীতাও করেন।
পুলিশ সাধারণ মানুষকে জলগুড় ও বাতাসা দেওয়া এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করতে তিনি জানান “প্রশাসনিক কাজতো থাকবেই। একবার ভাবুনতো সবাই কি জলের বোতল নিয়ে বের হয় ? সবার পক্ষে কি ঘরে বসে থাকা সম্ভব ? পেট তো আর কথা শোনেনা ! তাই আমাদের সাঁতরাগাছি থানার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের একটু পাশে থাকার চেষ্টা মাত্র”।
পুলিশের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।