ফের ঊর্ধ্বমুখী গ্যাসের দাম ! বর্তমানে একধাক্কায় বানিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ল ১০৮টাকা
মলয় দে নদীয়া:- মঙ্গলবার থেকেই ফের বেড়ড়েছে রান্নার বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম। একলাফে ১০৮ টাকা বাড়ছে বাণিজ্যিক গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম। এর ফলে এ জেলায় রান্নার বাণিজ্যিক গ্যাসের ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে 2105 টাকা । তবে আপাতত দুশ্চিন্তা নেই গৃহিণীদের, বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম এখনও পর্যন্ত বাড়েনি। উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ অক্টোবরের পর বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দামে কোনও হেরফের হয়নি। যদিও এই সময় পর্বে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০২ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিছুটা স্বস্তি দিয়ে অপরিবর্তিত থাকছে ১৪ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের দাম। আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের উপর। একই সঙ্গে বাড়তে পারে রান্নার গ্যাসের দাও। আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে এবার বাড়ছে রান্নার বাণিজ্যিক গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম। হোটেল বা রেস্তোরাঁয়। তারা অনেকেই জানান, বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের মূল্য তালিকা খুব বেশি হেরফের করা হয় না ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু চিনি ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য খাদ্য উপাদান দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির পরে হঠাৎ করে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অনেকটাই দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রুটি ভাত হোটেলের মালিকরা জানান, জায়গা কম থাকা এবং আঁচে বা কাঠছ রান্না করার শ্রমিক কমেছে। কিন্তু যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে পুরোনো দিনে ফিরে যেতে হবে মনে হচ্ছে। গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরদের পক্ষ থেকে অবশ্য জানা গেছে বাণিজ্যিক গ্যাস এমনিতেই বিক্রি হয় না, তার উপর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কমছে।
এ প্রসঙ্গে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখতে গিয়ে উঠে আসলো অদ্ভুত একটি বিষয়। বাণিজ্যিক হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টির দোকান বা অন্য যে কোন খাবারের দোকানের সংখ্যার তুলনায় একশতাংশও বাণিজ্যিক গ্যাস বিক্রি হয় না , অথচ সকলে গ্যাসেই রান্না করছেন, প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ডোমেস্টিক গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও?
প্রশ্ন উঠছে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়েও।মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই মূল্যবৃদ্ধি প্রভাব পেতে পারে ডোমেস্টিক গ্যাসের ক্ষেত্রে।প্রসঙ্গত, ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালে, রাশিয়া ছিল তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী। প্রতিদিন আনুমানিক ১০.৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করা হত। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে, অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এরপর এখন ১৪ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দামও বাড়ে কিনা এখন সেটাই দেখার।