মলয় দে নদীয়া:- মাঘী সপ্তমী তিথিতে জন্ম গ্রহন করেন গৌর আনা ঠাকুর, শান্তিপুর নাথ অদ্বৈতাচার্য ৷ বৈষ্ণব কূলচূড়ামনি সীতানাথের জন্মোৎসব উপলক্ষে নদীয়ার শান্তিপুরের বাইগাছি পাড়ার রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ১০দিন ব্যাপী নাম-গান সহ ভাগবত পাঠের আয়োজন করা হয় ৷ প্রথা অনুযায়ী মাঘী সপ্তমীর পরের দিন শ্রীচেতন্য, অদ্বৈতাচার্য, নিত্যানন্দ, শ্রীবাস প্রভু সহ শ্রীচেতন্য মহাপ্রভুর পার্ষদদের উদ্দেশ্যে ৬৪মহন্তের ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ শান্তিপুরের গোস্বামী বাড়িগুলিতেও ঐ বিশেষ ভোগ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে বলে জানা যায় ৷ বাইগাছি পাড়ার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে ১৮মাঘ থেকে শুরু হয়েছে সীতানাথ জন্মজয়ন্তী উৎসব ৷ চলবে ৯ফাল্গুন পর্যন্ত ৷
রাধাগোবিন্দ মন্দির সূত্রে জানা গেছে যে, সীতিনাথ প্রভুর জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তরা উপোষ করেন এবং পরের দিন ৬৪ মহন্তের ভোগ দেওয়ার পর ভক্তদের প্রসাদ দিয়ে তারা সেবা নেন ৷ রেল বাজার রাধাগোবিন্দ মন্দিরের প্রধান শচীনন্দন দাস ব্রক্ষ্মচারী জানান যে, গৌর আনা ঠাকুর সীতানাথ জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে দশদিন ব্যাপী হরিকথা, ভাগবত সপ্তাহ, ভূবন মঙ্গল নাম কথা এবং শ্রীমান মহাপ্রভুর পার্ষদদের উদ্দেশ্যে ৬৪ মহন্ত ভোগ নিবেদন করা হয় এবং ভক্তদেরও প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷
কথিত আছে বহু প্রাচীন কালে ধর্মপ্রচারক গণ সারাবিশ্বে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বিশ্রাম নিতেন বৃন্দাবনে, আর সেখানেই তাদের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা থাকতো। ৬৪ টি এ ধরনের আসন পাতাই থাকতো, সব সময় যা আজও বিদ্যমান। আর সেই অনুকরনে বিভিন্ন রাধাকৃষ্ণ উপাসনালয়ে এই নিয়ম চলে আসছে যুগ যুগান্তর ধরে।