মলয় দে নদীয়া:- রাজ্যের অভিনব মানবিক উদ্যোগ ‘প্রসব সাথী’ প্রকল্প।প্রসবের সময় আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভোগেন নতুন মায়েরা। সেই সময় শারীরিক দেখভালের মতোই মানসিক জোর প্রয়োজন হয়। মা বা মাতৃস্থানীয়া কেউ কিংবা স্বামীকে পাশে চান অন্তঃসত্ত্বারা। এতদিন লেবার রুমে চিকিৎসক, নার্সরা ছাড়া কাউকে সঙ্গে পেতেন না প্রসূতিরা। এবার সেই নিয়ম বদলের পালা।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর থেকে এমনকী, প্রসবের সময় লেবার রুমেও উপস্থিত থাকবেন অন্তঃসত্ত্বার আত্মীয়। মা কিংবা মাতৃস্থানীয়া কোনও একজন থাকতে পারবেন সঙ্গে। তবে প্রসূতি যদি চান লেবার রুমে তাঁর স্বামীও থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অন্যান্য প্রসূতির গোপনীয়তার দিকে নজর রাখতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রসব সাথী’।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব সাথীদের বিশেষ ব্যাজ বা কার্ড দেওয়া হবে। যা দেখিয়ে তিনি নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে বা হাসপাতালে ঢুকতে হবে। প্রসূতির সঙ্গেই থাকবেন তিনি। যেহেতু তাঁরা নতুন মা এবং সদ্যোজাতর দেখভাল করবে তাই প্রসব সাথীদের পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কোভিডবিধি অক্ষরে অক্ষরে পালনের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
সন্তান সম্ভবা মায়েরা মুখ্যমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রথমবার মা হতে গিয়ে অনভিজ্ঞতার ফলে, নানান ভয়ের সম্মুখীন হতে হয়, তা থেকে মুক্তি পেয়ে অনেকটাই মনোবল বৃদ্ধি হল এবার। অন্যদিকে চিকিৎসকরাও মুখ্যমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, দু একটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রায়ই চিকিৎসকদের দায়ী করা হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে তারা পাশে থাকলে অনেকটাই বুঝতে সক্ষম হবেন। তবে নবজাতকের কথা ভেবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সিজারিয়ান রুমে এই মুহূর্তে কাউকে ঢোকানো সম্ভবপর নয়।