মলয় দে,নদীয়া:-নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বই ছাপার শ্রীদাম দাসের এক পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে পুতুল সর্বকনিষ্ঠ। সাত বছর আগে ধুমধাম করে পণের দাবি মিটিয়েই ফুলিয়া পাড়ার সুনীল কীর্তনীয়ার পুত্র মিঠুন কীর্তনীয়ার সাথে বিবাহ দেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। এই সময় পুতুল দেবীর শারীরিক অসুস্থতা জন্য বেশ খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়েন। শুরু হয় অশান্তি সেখান থেকে, আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী প্রত্যেকের কাছে পুতুল দেবীর মস্তিষ্ক ভ্রম হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা ,সংসারে দেরি করে কাজ করা, অথবা একটু কম কাজ করা কে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝে চেহারা নেয় রণক্ষেত্রের। গতবছর এরকমই এক পরিস্থিতিতে থানায় অভিযোগ জমা করেন শ্রীদাম বাবু, অবশেষে সমাজের সকলের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে নেন।
কিন্তু গত ১৪ই ডিসেম্বর পুতুল দেবীর ছোট দেওর শারীরিক সম্পর্ক র কু-প্রস্তাব দেয় বৌদিকে। সে কথা পুতুল দেবীর স্বামী মিঠুন বাবুকে জানালেই শুরু হয় দক্ষযজ্ঞ, চলে বেদম প্রহার। ঘৃণায় লজ্জায়, পুতুল দেবি বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। ঘর বন্ধ করে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে মৃত্যু চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীর সহযোগিতায় উদ্ধার হয় পুতুল দেবীর দগ্ধ শরীর। নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল হাসপাতালে। সেখানেই গত রাত্রে তাকে মৃত বলে জানানো হয়। দেহ ময়না তদন্ত করে আজ সকালে সৎকার করে বাবা ও ভাইয়েরা।
বাবা শ্রীদাম দাস এর অভিযোগ অনুযায়ী, “ছটি তাঁত চালানো, তার সাথে সুতোর সূক্ষ্ম কাজ, সংসার বাচ্চা প্রতিপালন সবটাই করতেন তার মেয়ে, তবে একটু ধীর গতিতে! ডাক্তারি পরীক্ষা তো ধরা পড়েনি আমার মেয়ে পাগল! তবে কেন এই অপবাদে, মরতে হলো আমার মেয়েকে?”