মলয় দে নদীয়া :পৌরাণিক মতে, হাতির মাথা লাগানোর পরে, গণেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রহ্মকমলের জলে স্নান করে। যে কারণে, এই ফুলকে ‘জীবনদায়ী’ পদ্মও বলা হয়। কিন্তু, বর্তমানে এই ফুল বিপন্ন তালিকায় নাম লিখিয়েছে, মানুষেরই কারণে। উত্তর মায়ানমার, দক্ষিণ-পশ্চিম চিন ও ভারতের উত্তরাখণ্ড— মূলত এই তিন অঞ্চলেই দেখা পাওয়া যায় ব্রহ্মকমলের। ৩০০০ থেকে ৪৮০০ মিটার উচ্চতায়, পাথরের ফাঁকে ফোকোরে সবুজ ঘাসের মাঝে মাঝে দেখা যায় এই ফুল।ভারতের উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায় ব্রহ্মকমল। মূলত রূপকুণ্ডের পথেই দর্শন পাওয়া যায় এই ফুলের। । পাশাপাশি, আঞ্চলিক মন্দিরগুলোয় পুজো ছাড়াও, ব্রহ্মকমলের ঔষধি গুণাগুণের ফলে, প্রচুর পরিমাণে তা বিক্রি হয় কালো বাজারে। স্বাভাবিকভাবেই ব্রহ্মকমল বিলুপ্তির দিকে পা বাড়িয়েছে। উত্তরাখণ্ডের পঞ্চ কেদার অঞ্চলে সমীক্ষা চালিয়ে, ‘নেচার গাইড’ নামে একটি বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য এবং এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সমীক্ষাটি করে ‘ওয়াল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’।
মঙ্গলবার নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া বাজার পাড়া অঞ্চলে অদ্বৈত প্রামাণিকের বাড়িতে এ ধরনের এক ফুল ফোটা কে কেন্দ্র করে পুজো অর্চনা করতে দেখা গেলো। এলাকার বহু মানুষ ভিড় করে তা দেখতে এসেছে সন্ধ্যার পর থেকে। অদ্বৈত বাবুর কন্যা মামনি প্রামানিক জানান তার মাসতুতো দাদা অশোক ঘোষ কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্র থাকেন। গত বছর ভাইফোঁটা উপহারস্বরূপ দেয় একটি পাতা, বলেছিলেন মাটিতে লাগানোর জন্য। বাকিটা ছিল সারপ্রাইজ! বিগত ১০ মাসে আপন খেয়ালে কবে কবে বেড়ে উঠেছে গাছ।গত দু এক দিন থেকে মামণি খেয়াল করছে পাতা থেকে একটি কুঁড়ি শুরু হয়েছে । গতকাল সন্ধ্যে বেলায় তা প্রস্ফুটিত হয়ে সকলের উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে। কল্যাণী ইউনিভার্সিটি তে এম এ পাঠরতা মামনি নেট ঘেটে জেনেছে সমস্ত তথ্য। তবুও কেন পুজো? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মামনি জানান বাড়ির মা ঠাকুমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতেই তিনি বসেছিলেন পূজায়।