অঞ্জনা নদী বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলো নদীয়ার কৃষ্ণনগরের পরিবেশ কর্মীদের সংগঠন জলঙ্গী নদী সমাজ

Social

সোশ্যাল বার্তা : অঞ্জনা নদী বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের পরিবেশ কর্মীদের সংগঠন জলঙ্গী নদী সমাজ। রবিবার কৃষ্ণনগরের কালেক্টরি মোড় থেকে সাইকেলযাত্রা শুরু হয়ে ১৮ কিলোমিটার দোগাছী গ্রাম পঞ্চায়েতের খাল বোয়ালিয়া হয়ে কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়।পথিমধ্যে বেজিখালী ও শক্তিনগর পাঁচ মাথা মোড়ে নদী বিষয়ে চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলে প্রচারাভিযান।

একদা এই নদী মায়ের মতো লালন পালন করেছে নদীয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা । বাংলার বাণিজ্যতরী তার উপর দিয়েই বয়ে গেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়ও স্থান পেয়েছে “অঞ্জনা নদী তীরে চন্দনী গাঁয়ে, পোড়ো মন্দির খানা গঞ্জের বাঁয়ে”।

কেউ কেউ বলেন, বহিরাগত শত্রুরা যাতে সহজে প্রবেশ করতে না পারে সেই জন্যই নদীর মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয় । তখন থেকেই প্রথম অঞ্জনা নদীর গতিহীন হওয়া শুরু। কেউ বা বলেন সত্তরের দশকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কৃষ্ণনগর শহরকে বাঁচানোর জন্য জলঙ্গির পাশে বাঁধ দিয়ে দেয়। ফলে জলঙ্গি থেকে আলাদা হয়ে পড়ে অঞ্জনা। সেই সময় থেকে অঞ্জনার গতিহারানো শুরু।

কিন্তু বর্তমানে অঞ্জনা নদী যেন মরতে বসেছে। হারিয়েছে তার স্বতঃস্ফূর্ত গতি । কোথাও বেআইনি নির্মাণ, কোথাও মাছ ধরার জলাশয়, কোথাও দোকানপাট, কোথাও আবার বাঁধ দিয়ে চাষবাসের ফলে ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে গেছে। সৌন্দর্য হারিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ভিড়ে নদীটি এখন কোথাও খাল, কোথাও বা ছোটো নালায় পরিণত হয়েছে।

সকালবেলা এই সাইকেল যাত্রা শুরু হয় বেলা ১টা নাগাদ পৌঁছায় কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে। সংগঠনের নেতৃত্বরা নদী বাঁচাতে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। সংগঠনের অন্যতম কৌশিক সরকার জানান “কৃষ্ণনগরের অঞ্জনা নদী অবহেলিত এবং মৃতপ্রায় বলা যায়। অঞ্জনা নদী আমাদের কাছে একটি আবেগ।ধীরে ধীরে কিছু অসাধু ব্যক্তির লোভের ফলে তার স্রোত হারিয়ে ফেলেছে। কোথাও বড় বড় অট্টালিকা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমরা অনুরোধ রাখছি অঞ্জনা নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যা করা প্রয়োজন আপনারা করুন”।

এই সাইকেলযাত্রায় নদীয়ার এবং রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা যোগদান করেন ।

Leave a Reply