মলয় দে নদীয়া:- একান্নবর্তী পরিবার যখন ভেঙে খন্ড খন্ড, ক্লাব পাড়া বারোয়ারী গুলোর পরিস্থিতিও একই। কিন্তু নদীয়ার শান্তিপুর শহরের বাগানে পাড়া এলাকায় তার কিছুটা প্রভাব পড়লেও এখনো অক্ষুন্ন বেশ কিছুটা। ১৭ বছর ধরে চলে আসা পাড়ার রাধাকৃষ্ণ পুজো উপলক্ষে একমাস আগে থেকেই হরিনাম মহাযজ্ঞ নাম সংকীর্তন চলে অষ্টম প্রহর ধরে এবং তারপরে শেষ দিন অর্থাৎ গতকাল শ্রী অদ্বৈতপাঠ সহ নগর পরিক্রমা করে মহোৎসবের খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করা হয় সকলের উদ্দেশ্যে। ভক্তবৃন্দরা প্রত্যেকেই জোগাড় করেন চালডাল। এক মুঠো মুঠো করে জোগাড় করা চালের পরিমাণ হয়ে দাঁড়ায় ২৫ বস্তা।
সকাল থেকে রান্না শুরু দুপুর থেকে খাওয়া-দাওয়া। ৩৫জন মিলে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে শুধু প্রসাদ বিতরণ। স্থানীয় লোকনাথ মন্দিরের এই আয়োজনে সামিল হন শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। আয়োজকরা জানান তিনটি পাড়ার মধ্যে বিভক্ত হয়ে গেছে এই পুজো। একটি পাড়ার পুজো হয়ে গেছে কিছুদিন বাদে আরেকটি হবে। সংখ্যাটা দেখে একবার ভাবুন, একপাড়ার যদি এই হয়ে থাকে! তাহলে তিন পাড়ার মিলিয়ে অতীতে কি ধরনের আয়োজন হতো।