নিউজ সোশ্যাল বার্তা : সারা ভারত বর্ষ তথা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই ক্যাব বা নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক সেই সময়ে রাস্তায় বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত ছোট ছোট শিশু ও আশ্রমের বাচ্চাদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে কলকাতার কিছু স্বহৃদয় ব্যক্তিত্ব ।
গত ১৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ পরিব্রাজকাচার্য শ্রী শ্রী ১০৮ ঠাকুর নিগমানন্দ সরস্বতী পরমহংসদেবের গৌরাঙ্গ সেবা নিকেতন প্রতিষ্ঠা ও তদুপলক্ষে (১২ই ডিসেম্বর) সেবা দিবসের কথা স্মরণ করে প্রথম পর্যায়ে বড়দিনের প্রাক্কালে হালিশহরের আসাম-বঙ্গীয় সারস্বত মঠের অন্তর্গত হাওড়ার বাকসাড়া শ্রী শ্রী নিগমানন্দ সারস্বত সংঘের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হোমে ৪১জন বাচ্চার হাতে কম্বল, কেক সহ কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল।
এছাড়াও হেস্টিংস্-এ দ্বিতীয় হুগলী সেতুর নীচে ফুটপাথে যে হত দরিদ্র মানুষরা থাকেন তাদের জন্য পুরোনো পরিধানযোগ্য জামা-কাপড় দেওয়া হল।
তাদের কর্মকাণ্ডে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রিয়াঙ্কা চ্যাটার্জী বলেন “শ্রী শ্রী ঠাকুর মহারাজের আশীর্বাদে দেবদত্তা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই শিশু-নারায়ণদের সেবা সুসম্পন্ন হল। দেবদত্তা ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার পেশায় নার্স শ্রীমতি শ্রাবণী পাত্র দিদির প্রতি আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। দিদির বিপুল পরিমাণ সেবা কাজের দ্বারা আমরা অনুপ্রাণিত হই।
যে মহান দাতাগণের অকুন্ঠ দানে ও যে গুরুভাই-বোন ও অন্যান্য দাদা-দিদিদের আন্তরিক সহায়তায় এই পবিত্র সেবাকার্য সুসম্পন্ন হল তাদের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ।
শ্রী শ্রী ঠাকুর মহারাজ বাচ্চাদের খুব ভালোবাসতেন। বাচ্চাদের সাথে সময় কাটিয়ে আমরা সবাই খুব আনন্দিত। শ্রী শ্রী নিগমানন্দ সরস্বতী পরমহংসদেবের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে বাকসাড়া শ্রী শ্রী নিগমানন্দ সারস্বত সংঘের পক্ষ থেকে এর আগেও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করা হয়েছে। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে আরও এই ধরনের কাজ করার।”