নদীয়ার নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়। অস্থায়ীভাবে কৃষ্ণনগর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন আরম্ভ হচ্ছে। শুরুতে চারটি বিষয় নিয়ে ভরা কোভিডেই পঠন-পাঠন শুরু করে বেশ গুছিয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষাবিজ্ঞান ও ইতিহাস— এই চারটি বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন আরম্ভ হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে আরোও চারটি বিষয়— মাস্টার অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক, ফুড এন্ড নিউট্রিশন, ভূগোল এবং ল্ সংযুক্ত করে মোট আটটি বিভাগ নিয়ে কন্যাশ্রীতে পঠন-পাঠন হচ্ছে। এখন অফলাইনে পঠন-পাঠনের জন্য পড়ুয়া ও অধ্যাপকরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। ২০১৯ সালে অনলাইনে পঠন-পাঠনের মাধ্যমে কন্যাশ্রীর শুভযাত্রা। প্রাথমিকভাবে অতিথি অধ্যাপকদের দিয়েই পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপাচার্য, নিবন্ধক সহ একাধিক আধিকারিক বেশ সাফল্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি করেছেন। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের অফলাইনে পঠন-পাঠন শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসাবে কোভিডকালে প্রাণপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন সচল করে তোলা একটা চ্যালেঞ্জ”। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক অধ্যাপিকা এবং প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন জনের সহযোগিতা ও নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন সচল ও সক্রিয়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. সুজয়কুমার মণ্ডল জানান, “নদিয়া জেলার মফঃস্বলে বেশ সাড়া ফেলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ উদ্যোগ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক”। কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগের অতিথি অধ্যাপক অনিরুদ্ধ সাহা জানিয়েছেন, “আমাদের বিভাগের কন্যাকূলের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক। তাঁরা স্বশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হবার জন্য মুখিয়ে আছেন। আমরাও নবাগতদের আগমনীবার্তা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছি”।