ডা: সাধন সেনের মতো মানুষের খুব প্রয়োজন ,পালিত হলো জন্মদিন 

News

সোশ্যাল বার্তা : ডা: সাধন সেন স্মৃতি রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রথম বিধায়ক, মানবদরদী চিকিৎসক ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ডা: সাধন সেনের ৯৩ তম জন্ম দিবস উদযাপন হলো তার নিজ বাসভবনের সামনে । প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে উপেক্ষা করে দলমত নির্বিশেষে বহু মানুষ তার এই জন্ম দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে হাজির হন। ডা: সাধন সেনের প্রতিকৃতিতে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে মাল্যদান এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় । মাল্যদানের পর সুস্মিতা বর্ধন ও সীমা ভট্টাচার্য সংগীত পরিবেশন করেন । এরপর বক্তৃতার মধ্য দিয়ে ডা: সাধন সেনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন স্মৃতি রক্ষা সমিতির সভাপতি মনীষী নন্দী ও সম্পাদক সমীর রঞ্জন দত্ত, পরিবারের পক্ষ থেকে ডা: সুজন সেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মুখ্য পৌর প্রশাসক উৎপল তালুকদার, প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবি কর, ডঃ সুহাস ভট্টাচার্য,পৌরসভার কো-অর্ডিনেটর চিরঞ্জিত সরকার, মৃদুল দাস,পবন সিং, তারক দাস, আব্দুল অলিল, তাপস ব্যানার্জি মহাশয় ।

বক্তারা বক্তব্যে ডা: সাধন সেনের আদর্শ চিন্তা-ভাবনা, রাজনৈতিক ও চিকিৎসা জীবনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন ডাঃ সাধন সেন বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতেন। তিনি খুব উচ্চমানের চিকিৎসক ছিলেন, তাঁর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতি অতুলনীয় ছিল। তিনি খুবই কম সাম্মানিকে রুগী দেখতেন। বক্তারা আরও বলেন শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন “দাগ কেটে যাও” ডাঃ সাধন সেন তাঁর সেবা কর্মের মাধ্যমে দাগ কেটে গেছেন, তাই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও দলমত নির্বিশেষে বহু মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন।

তিনি শুধু মাত্র চিকিৎসক বা রাজনৈতিক মানুষ ছিলেন না। তিনি পরিবেশ কর্মীও ছিলেন। তাঁর তৈরি হাবরা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিকাশ কেন্দ্র এখনো পরিবেশ রক্ষার্থে কাজ করে চলেছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও অশোকনগরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এলাকায় উন্নয়নে চিরকাল সহাবস্থান নিয়েছেন, ডাঃ সাধন সেন ও তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অবদানের জন্যই আজ আমরা সুন্দর নগরে বাস করছি।ডাঃ সাধন সেন আর্সেনিক দূষণ নিয়ে কথা বলার জন্য একসময় সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে অশোকনগরে আর্সেনিক নিয়ে শহীদ সদনে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্যোক্তা ছিলেন ডাঃ সাধন সেন। এছাড়াও কালাজ্বর নির্ণয় ও নির্মূলের জন্য তাঁর অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে।অশোকনগরে ডাঃ সাধন সেনের মূর্তি স্থাপনের প্রস্তাব এই উদযাপন অনুষ্ঠানের রাখা হয় এবং আগামী বছর সেই মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানোর কথা বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। সবশেষে অনুপ মজুমদারের গণ সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় ।

Leave a Reply